শনা ক্ত করা যায় না’ এমন ক্ষে প ণা স্ত্র দিয়ে ই সরা য়ে লে হা ম লা করেছে ই রা ন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরান দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের একটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা স্থাপনায় এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে, যা শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব। এই হামলা শুধু ইসরায়েলকে হতবাকই করেনি, বরং ভবিষ্যতের যুদ্ধের র..

তেহরান থেকে পাঠানো বার্তায় বিস্ফোরক ঘোষণা—ইরান ইসরায়েলের একটি গোপন গোয়েন্দা স্থাপনায় এমন এক অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে, যা ট্র্যাক কিংবা প্রতিহত করার কোনো উপায় নেই।

১৭ জুন, মঙ্গলবার, আল জাজিরা টেলিভিশন একটি বিশেষ প্রতিবেদনে জানায়, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই হামলাকে 'অভূতপূর্ব সাফল্য' হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজা তালায়ি-নিক বলেন, “আমরা এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছি যা বিশ্বের কোন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শনাক্ত করতে পারেনি। এটি ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষার একাধিক স্তর ভেদ করে সোজা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।

জেনারেল তালায়ি-নিক আরও বলেন, “এই হামলা ইসরায়েলের জন্য শুধু চমকপ্রদ নয়, এটি ছিল এক ধরনের সামরিক বার্তা—যেখানে আমরা স্পষ্ট করে দিলাম, তারা যতই প্রযুক্তিতে উন্নত হোক, আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতার সীমা তারা কল্পনাও করতে পারবে না।”

এ হামলার পর ইসরায়েলের নিরাপত্তা মহলে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র আগে কখনো ব্যবহার হয়নি এবং এটি যদি সত্যি শনাক্ত-বিহীন হয়, তাহলে এটি ভবিষ্যতে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ড. ইউভাল বারকাই জানান, “আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যূহে একাধিক স্তর আছে, যা সাধারণত যেকোনো ধরণের আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম। কিন্তু যদি এই ক্ষেপণাস্ত্র সত্যিই প্রতিটি স্তর অতিক্রম করে থাকে, তাহলে এটি শুধু ইসরায়েলের নয়, বরং সমগ্র অঞ্চলের প্রতিরক্ষা কৌশল নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।

ইরান বলেছে, এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা ইউনিট এবং মোসাদের একটি পরিকল্পনা অফিস। যদিও ইসরায়েল সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে ঘন ঘন বিমান চলাচল, টেলিযোগাযোগে বিঘ্ন, ও নিরাপত্তা এলার্ট এসব ইঙ্গিত করে যে, কিছু একটা ঘটেছে।

তেহরান এখানেই থেমে থাকছে না। জেনারেল তালায়ি-নিক সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আজকের এই হামলা ছিল কেবল শুরু। যদি পরিস্থিতির অবনতি হয়, আমরা আমাদের এমন অস্ত্র ব্যবহার করব যেগুলো এখনো প্রকাশ্যে আনা হয়নি।”

তিনি আরও যোগ করেন, “ইহুদিবাদী সরকার দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নয়। তারা জানে, যুদ্ধ শুরু হলে শেষ কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা কেউ জানে না—কিন্তু আমাদের প্রযুক্তি প্রস্তুত।”

এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহলেও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এই অস্ত্রের ধরন নিয়ে। বিশেষ করে ‘অশনাক্ত ক্ষেপণাস্ত্র’ ব্যবহারের বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন এবং যুদ্ধনীতির পরিপন্থী কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

ইরান-ইসরায়েল টানাপোড়েন নতুন কিছু নয়। কিন্তু ইরান এবার একেবারে ভিন্ন কৌশলে আঘাত হেনেছে। এই ‘অশনাক্ত’ অস্ত্র শুধু প্রযুক্তিগত দিক থেকেই নয়, মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকেও ইসরায়েলকে চাপের মধ্যে ফেলেছে। এখন দেখার বিষয়—ইসরায়েল এই চ্যালেঞ্জের কী জবাব দেয়।

Walang nakitang komento


News Card Generator