শক্তিশালী পুলিশ বাহিনীর জন্য এক যুগান্তকারী সংস্কার: ক্ষমতা নয়, সেবা হবে তাদের মূল লক্ষ্য!
পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে জাতির সেবায় নিয়োজিত করতে এক বিশেষ কমিশন গঠন করেছে সরকার। "পুলিশ সংস্কার কমিশন" আগামী ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে, যার মাধ্যমে পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া, কাজের জবাবদিহি এবং মানবাধিকার সম্মত কার্যক্রমে বিশাল পরিবর্তন আসবে। কমিশনটি সুপারিশ করবে, পুলিশকে রাজনৈতিক দলের লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত না করে একটি নিরপেক্ষ, জনমুখী এবং দক্ষ বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
কমিশনের চেয়ারম্যান সফর রাজ হোসেন জানান, "পুলিশকে কেবল মাত্র সেবা প্রদানকারী বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে।" এছাড়া, প্রতিবেদনটি পুলিশের ব্যবহৃত অস্ত্রসমূহের নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের পেশাগত দায়িত্বে উন্নয়ন সংক্রান্ত সুপারিশও প্রদান করবে। কমিশনটি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত একটি জাতীয় পুলিশ কমিশন গঠনের পরিকল্পনা করছে যা সংসদীয় কমিটির কাছে জবাবদিহি করবে।
এছাড়া, কমিশন পুলিশ বাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংস্কারের কথা বলছে, যাতে কেবল যোগ্য প্রার্থীরা উচ্চ পদে নিয়োগ পায়। আইনি কাঠামো ও স্বচ্ছতার জন্য পুলিশ বাহিনীকে ইউরোপীয় মানদণ্ডে পরিচালনা করার সুপারিশও রয়েছে।
সফর রাজ হোসেন বলেন, "প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করা আমাদের মূল লক্ষ্য।" কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে পুলিশ বাহিনী আরো দক্ষ, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে দেশের নিরাপত্তায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
Inga kommentarer hittades



















