close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

শক্তিশালী বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন: তারেক রহমান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করতে, রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়া
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করতে, রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি জানিয়েছেন, বৈষম্যমুক্ত একটি দেশ গড়তে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন রাজনৈতিক অধিকার, কারণ রাজনৈতিক স্বাধীনতা না থাকলে অর্থনৈতিক মুক্তি পাওয়া অসম্ভব। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আয়োজিত চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে আহত বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ফটোসাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তারেক রহমান এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে হলে দেশের জনগণের ভোটাধিকার পূর্ণাঙ্গভাবে সুরক্ষিত করতে হবে।” জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: তারেক রহমান তারেক রহমান একসময় বলেন, “দেশের উন্নয়ন এবং সংস্কারের মূল চাবিকাঠি হলো জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্ব। যারা জনগণের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত, তারাই জাতির আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দেশকে পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। ভোটাধিকার, রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে, কোনো দেশের অর্থনৈতিক বা সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।” তারেক রহমান আরও বলেন, “এমন একটি দেশ গড়তে হবে যেখানে সকল মানুষের মৌলিক অধিকার থাকবে এবং বৈষম্যের কোনো স্থান থাকবে না। একমাত্র তখনই দেশের উন্নতি সম্ভব। ক্ষমতায় থাকা কিছু গোষ্ঠী দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না করে অন্য দেশের স্বার্থ রক্ষা করার পেছনে কাজ করছে।” ক্ষমতায় ১৫ বছর, জনগণের অধিকার উপেক্ষিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, “১৫ বছর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে এবং দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। বরং, শাসকগোষ্ঠী বিদেশি স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেছে। একের পর এক গুম, খুন এবং মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডগুলো দেশবাসীকে এর প্রমাণ দিয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকা সময়ে কী পরিমাণ অমানবিক কার্যকলাপ সংঘটিত হয়েছে।” আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী মন্তব্য করেন, “আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের কোনো অবশিষ্ট চিহ্নও থাকবে না। দেশের স্বার্থ রক্ষায় তাদের কোনো সদিচ্ছা নেই।” তিনি বলেন, “এদের ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশ একেবারেই উপনিবেশের মতো হয়ে যাবে।” নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা এবং জাতীয় ঐক্যের আহ্বান তারেক রহমান দেশের জনগণের পক্ষে শক্তিশালী জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন। তিনি বলেন, “আমরা যদি সত্যিকার অর্থে একটি বৈষম্যহীন দেশ চাই, তাহলে আমাদের নিজেদের রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা করতে হবে এবং একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে। বৈষম্যের শেষ প্রান্তে পৌঁছাতে হলে নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষিত করা অত্যন্ত জরুরি।” অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতা, দলের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা এবং আহত ফটোসাংবাদিকরা। তাদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে তাদের কষ্ট, ত্যাগ এবং সংগ্রামের কাহিনী শোনা হয়। এভাবে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই বক্তব্যে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মানুষের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে, যা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করতে পারে।
Комментариев нет