মাগুরায় গত কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া একটি ভয়াবহ ঘটনা সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, যেখানে ৮ বছরের একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটি তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এই নৃশংস ঘটনার শিকার হয়। শিশুটির মা শনিবার সকালে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন, এবং এতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪) এর ক/৩০ ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
মামলার পর পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন শিশুটির বড় বোনের স্বামী সজিব, শ্বশুর হিটু মিয়া, শাশুড়ি জায়েদা বেগম এবং ভাশুর রাতুল। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন এবং মামলার পর তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে মাগুরা সদর থানার পুলিশ জানায়, শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়, পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং অবশেষে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে শিশুটি লাইফ সাপোর্টে রয়েছে এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শিশুটির চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার গলায় আঘাতের দাগও রয়েছে এবং যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ডাক্তারদের মতে, শিশুটির অবস্থায় দ্রুত উন্নতি সম্ভব নয়, তবে চিকিৎসা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
এদিকে, গ্রেফতারকৃত চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মাগুরা পুলিশ সুপার মাহমুদা মিনা জানান, ঘটনার তীব্রতা বিচার করে শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। মানবাধিকার সংস্থা এবং সাধারণ জনগণ শিশুদের বিরুদ্ধে এমন পাশবিক নির্যাতনের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। তারা বলছেন, শিশুদের সুরক্ষায় আইন আরও কঠোর করতে হবে এবং অভিযুক্তদের শাস্তি দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে।
মাগুরার এই ঘটনার মাধ্যমে এক বার্তা প্রদান করা হয়েছে যে, শিশুদের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের নির্যাতন কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। স্থানীয়রা আশাবাদী যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে এবং এমন ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।