close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
নিপুণ আক্তার যেন বারবার সমালোচনার কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। কখনও সমিতির নির্বাচন নিয়ে, কখনও বা নিজের মন্তব্যের কারণে বিতর্কিত হয়েছেন তিনি।
গত বছরের ১৬ জুলাই নিপুণ সমিতির প্যাড ব্যবহার করে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে একটি বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে তিনি নিজেকে সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে উল্লেখ করেন। পরের দিন, ১৭ জুলাই, তিনি এই বিবৃতি নিজের ফেসবুক পেজেও শেয়ার করেন। এই ঘটনাটি তৎকালীন সময়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করে।
সমিতির প্যাড ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর, মিশা সওদাগর এবং মনোয়ার হোসেন ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটি ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সভায় নিপুণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের একজন প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে নিপুণ কোনো নোটিশের তোয়াক্কা করেননি বলে জানা যায়। বরং তিনি তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান।
বহিষ্কারের পেছনের কারণ
সমিতির প্যাডের অনৈতিক ব্যবহারের পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগও রয়েছে নিপুণের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগগুলোর ভিত্তিতে তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শিল্পী সমিতির বক্তব্য
এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি সমিতির সহসভাপতি ও মুখপাত্র ডিএ তায়েব। তবে তিনি বহিষ্কারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে, নিপুণের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার কাছে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
অতীতের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড
নিপুণের বিরুদ্ধে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ডিপজলকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করার সময় তার পাসপোর্ট অফলোড করে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। যদিও মামলা না থাকায় তাকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এই ঘটনায় বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজে নিপুণের উপস্থিতি স্পষ্ট দেখা যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ও সমিতির প্যাড ব্যবহার করে বিতর্কিত বিবৃতি দিয়েছিলেন নিপুণ। সেখানে তিনি নিজেকে ‘সাবেক’ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেন, যদিও তিনি তখন সমিতির কোনো পদে ছিলেন না। এই ঘটনার পর প্রশ্ন ওঠে, তিনি কীভাবে সমিতির অফিসিয়াল প্যাড ব্যবহার করেন।
নিপুণের ভবিষ্যৎ
বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিপুণের ক্যারিয়ারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার ভবিষ্যৎ কীভাবে এগিয়ে যাবে, তা নিয়ে চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকেই কৌতূহলী। তবে সমালোচকদের মতে, তার এই কর্মকাণ্ড নিজেকেই আরও কোণঠাসা করে তুলছে।
No comments found