মাদারীপুরের শিবচরে এক নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, যার পেছনে হাসপাতাল মালিকের ব্যাপক অপরাধমূলক কার্যক্রমের সন্দেহ। ভুক্তভোগীর পরিবারের মাধ্যমে তোলা মামলার পরবর্তী কার্যক্রমে, বৃহস্পতিবার রাতে শিবচর থেকে মালিক আপেল মাহমুদ (৪০)কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আপেল মাহমুদ, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পশ্চিম সেনেরচর এলাকার বাসিন্দা এবং শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালের মালিক, তার বিরুদ্ধে পূর্বে শিশু ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মামলা থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে ভুক্তভোগী নার্সকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ প্রকাশ্যে জানিয়েছে, ভুক্তভোগী নার্স দীর্ঘদিন ধরে ইউনাইটেড হাসপাতালে কাজ করে আসার পর এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। অভিযোগ অনুসারে, নার্সকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আপেল মাহমুদ অপরাধের প্রধান ব্যক্তিগত দায়ী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শিবচর থানার ওসি রতন শেখ জানান, “ধর্ষণ মামলার আসামি আপেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও শিশু ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মামলা থাকা সত্ত্বেও আজকের গ্রেফতারি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।”
এই ঘটনাটি স্থানীয় সমাজে ব্যাপক উত্তেজনা ও নিন্দার সাড়া ফেলেছে। ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগে আপেলের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা তোলা হয়েছে এবং তারা ন্যায়বিচারের দাবিতে বেগ বাড়িয়ে চলেছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে অপরাধের সঠিক তদন্ত ও বিচারের নিশ্চয়তা প্রদান করতে নির্দেশিত হয়েছে। সমাজের নিম্নস্তরের নারীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অপরাধ বিরোধী আইনগত ব্যবস্থার গুরুত্ব ও তাত্ক্ষণিক কার্যক্রম প্রমাণ করে।