close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানিয়েছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতরা ‘জুলাই শহিদ’ হিসেবে পরিচিত হবেন এবং আহতরা ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। তাঁর এই ঘোষণা সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে।
নতুন স্বীকৃতির আওতায় শহীদদের সনদ ও পরিচয়পত্র
উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানান, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তারা ‘জুলাই শহিদ’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করবেন এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নিহতদের পরিবার সনদ ও পরিচয়পত্র গ্রহণ করবেন।’ এটি একটি বড় পদক্ষেপ যা নিহতদের পরিবারকে নতুন সম্মান ও স্বীকৃতি প্রদান করবে।
আহতদের জন্য তিন ক্যাটাগরি: সরকারি সুবিধা এবং ভাতা
এই বিষয়ে আরও বিস্তারিতভাবে জানানো হয় যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আহতদের তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে। ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে খ্যাত হওয়া আহতরা সরকারি পরিচয়পত্র পাবেন, যা তাদের জন্য আরও বেশ কিছু সুবিধার দ্বার উন্মোচন করবে। এসব সুবিধার মধ্যে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা এবং সরকারী ভাতা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
‘জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় নতুন সরকারের কার্যক্রম চালু হবে’
ফারুক ই আজম আরো বলেন, নির্বাচিত সরকার ‘জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা’ নিয়ে কাজ করবে এবং এই অধিদপ্তরের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাবে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হতে পারে যেখানে শহীদদের শ্রদ্ধা এবং আহতদের সহায়তার আওতায় আরও বেশি রাষ্ট্রীয় সাহায্য ও স্বীকৃতি মিলবে।
এই নতুন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে, দেশের শহীদ ও যোদ্ধাদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হতে যাচ্ছে। ‘জুলাই শহিদ’ ও ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে তাদের পরিচয় বহন করলেই দেশের মুক্তির ইতিহাসে তাদের অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এখন সময় এসেছে, দেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা, যেখানে ‘জুলাই শহিদ’ ও ‘জুলাই যোদ্ধা’দের সম্মান জানানো হবে এবং তাদের জন্য সরকারী সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে।
No comments found