শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ: সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা – প্রধান উপদেষ্টা


প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি এক বক্তব্যে বলেন, শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ দেশের মানুষের জন্য সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার অনুপ্রেরণা জোগায়। ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনের সময় শহীদ আসাদ ছাত্রসমাজের পক্ষে দাঁড়িয়ে যে অবদান রেখেছেন, তা আজও জাতীয় ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগ বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছিল।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “শহীদ আসাদের জীবনের আদর্শ আমাদের প্রতিটি মুহূর্তে পথপ্রদর্শক। সত্য, ন্যায় এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা আজকের তরুণ সমাজকে দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে উঠতে উৎসাহিত করে।”
তিনি উল্লেখ করেন, শহীদ আসাদ ছিলেন এক অসামান্য নেতৃত্বের প্রতীক, যাঁর সংগ্রাম কেবল একটি সময়ের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল না। তাঁর সাহসিকতা এবং নেতৃত্ব বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার জন্য মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছিল।
ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়
১৯৬৯ সালের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনে শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তাঁর নেতৃত্বে ছাত্রসমাজ স্বাধীনতার প্রাথমিক ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে স্মরণ করিয়ে দেন যে শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ একদিনে শেষ হয়নি; বরং তা জাতির প্রত্যেকটি প্রজন্মকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছে। তিনি বলেন, “আজকের তরুণদের উচিত শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং দেশ গঠনে নিজেকে নিয়োজিত করা।”
শহীদ আসাদ দিবস উদযাপন
প্রতিবছর ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। এদিন সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে শহীদ আসাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানের শেষে সবাইকে আহ্বান জানান, যেন দেশের প্রতিটি নাগরিক শহীদ আসাদের আদর্শকে অন্তরে ধারণ করে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করে।
শহীদ আসাদের এই আত্মত্যাগই প্রমাণ করে, সঠিক নেতৃত্ব এবং জনগণের জন্য সত্যের পক্ষে লড়াই করলে তা একদিন সাফল্য এনে দেয়।
Không có bình luận nào được tìm thấy