close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রংপুরের শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ শুরু। পথে পথে গাইবান্ধা, রংপুরে পথসভা—গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিকে নতুন করে জাগাতে চায় দলটি।..

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মঙ্গলবার থেকে শুরু করেছে তাদের ঘোষিত ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’। এই কর্মসূচির সূচনা হয়েছে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর জাফরপাড়া গ্রামে, যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হওয়া আবু সাঈদের কবর অবস্থিত। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এনসিপির শীর্ষ নেতারা সেখানে উপস্থিত হয়ে শহীদের কবর জিয়ারত করেন এবং শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।

তারা শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করে খোঁজখবর নেন এবং শহীদের আত্মত্যাগের স্মৃতি রক্ষার্থে নানা উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এনসিপি জানিয়েছে, এই কর্মসূচি শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রতীক হিসেবে এটি তারা পালন করছে। শহীদের কবর জিয়ারতের পর নেতারা গাইবান্ধা অভিমুখে রওনা হন, যেখানে একাধিক পথসভা ও মিছিলের আয়োজন করা হয়।

গাইবান্ধার পর মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় রংপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে—যেমন পার্কের মোড়, লালবাগ, শাপলা চত্বর, ও জাহাজ কোম্পানির মোড়ে মিছিল করে টাউন হল চত্বরে এক বিশাল পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই পথসভায় অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।

এনসিপির নেতারা পথসভায় বলেন, জুলাই মাস শুধু একটি তারিখের স্মৃতি নয়, এটি বাংলাদেশের গণ-অধিকার, শিক্ষিত তারুণ্যের আত্মত্যাগ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামের চিহ্ন। শহীদ আবু সাঈদ আমাদের পথ দেখান—আমরা তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছি।

এনসিপির এই পদযাত্রা চলবে গোটা জুলাই মাস জুড়ে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তারা এই কর্মসূচি ছড়িয়ে দেবে এবং জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবে।

নেতারা জানান, তারা রাজনীতি করতে চান ভিন্নভাবে—জনগণের বাস্তব অভিজ্ঞতা, বঞ্চনা, চাহিদা এবং অধিকারকে সামনে রেখে। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জনগণের সঙ্গে একাত্ম হতে চান তারা।

আন্দোলনের মূল বার্তায় বলা হয়েছে, দেশ গড়তে হলে আমাদের পথে নামতে হবে। যারা শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায় আমাদের কাঁধে। পদযাত্রা সেই দায় পালনের সূচনা।

Nessun commento trovato