close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

শেরপুর জেলার উন্নয়নে প্রেস ক্লাবের আয়োজনে রাজনীতিবিদদের সাথে মতবিনিময়..

a m abdul wadud avatar   
a m abdul wadud
স্বাধীনতা পরবর্তী ৫৩ বছরে শেরপুর জেলায় দৃশ্যত কোন উন্নয়ন হয়নি।  যা হয়েছে তা সরকারি বিধি মোতাবেক সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট নির্মাণ । বিগত সরকারের ১৭ বছর স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রীদের..

শেরপুর প্রেস ক্লাবের আয়োজনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা এবং পিপি, জিপি ও আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে জেলার উন্নয়নে নায্য দাবী আদায়ে করনীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  ৫ মে সোমবার রাতে শেরপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদলের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা।

এতে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং পিপি, জিপি ও জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে পিপি আব্দুল মান্নান, জিপি খন্দকার মাহবুবুল আলম রকীব, নারী ও  শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আশরাফুন নাহার রুবি, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপন, কামরুল হাসান, সাইফুল ইসলাম , সুলতান আহমেদ ময়না, লালন মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব,  জেলা জামায়াতের আমির মোঃ হাফিজুর রহমান, জামায়াত নেতা গোলাম কিবরিয়া ও মোঃ হাসানুজ্জামান হাসান, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুকসিতুর রহমান হীরা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবুল মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আব্দুর রশিদ বিএসসি, গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ, সদস্য সচিব মোঃ শামসুজ্জামান শিবলু, ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি  হাফেজ মাওলানা ফারুক আহমেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টি( এনসিপি) ইন্জিনিয়ার লিখন মিয়া, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, জেলা জাতীয় ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলামসহ শেরপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দদের মধ্যে কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মহিউদ্দিন সোহেল বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও শেরপুর প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ সদস্যদের মধ্যে আবু হানিফ, মনিরুজ্জামান রিপন, কাজী মাসুম, জুবাইদুল ইসলাম, জাহিদুল খান সৌরভ, শাহরিয়ার শাকির, মুরাদ মিয়া, সিফাত হাসানসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রায় অর্ধশত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী ৫৩ বছরে শেরপুর জেলায় দৃশ্যত কোন উন্নয়ন হয়নি।  যা হয়েছে তা সরকারি বিধি মোতাবেক সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট নির্মাণ । বিগত সরকারের ১৭ বছর স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রীদের নিজেদের ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও নিজ নিজ জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ ছাড়া সাধারণ জনগনের জন্য আর কিছুই হয়নি। এখানে আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি কোন মেডিকেল কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় । কৃষিতে উর্বর এ জেলায় একটি হিমাগার এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল জরুরী হলেও তা স্থাপন করা হয়নি।

ব্রিটিশ শাসন আমলে জামালপুর থেকে শেরপুরে একটি রেল লাইন স্থাপনের পরিকল্পনা করা হলেও আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে শেরপুর জেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষ একযোগে উল্লিখিত দাবি-দাওয়া নিয়ে আগামী ১৫ মে পুরো জেলা জুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ওই কর্মসূচিকে সফল করতে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সংগঠন,  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শেরপুর চেম্বার অব কমার্স ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের  নেতৃবৃন্দ এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের সাথে পর্যায়ক্রমে মতবিনিময় সভার অংশ হিসেবে সোমবার রাতে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ জেলার উন্নয়নে এই দাবি আদায়ের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে একযোগে শেরপুর প্রেস ক্লাব তথা সাংবাদিকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।

 

Ingen kommentarer fundet