বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ এক চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের মোট ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ‘লক’ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অনুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
তিনি জানিয়েছেন, “হ্যাঁ, শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের সদস্যদের এনআইডি লক করা হয়েছে। তবে বিস্তারিত নামের তালিকা আমি দিতে পারছি না।” যদিও নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, যাদের এনআইডি লক করা হয়েছে তারা হলেন:
-
শেখ হাসিনা
-
সজীব ওয়াজেদ জয়
-
সায়মা ওয়াজেদ
-
শেখ রেহানা সিদ্দিক
-
টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক
-
আজমিনা সিদ্দিক
-
শাহিন সিদ্দিক
-
বুশরা সিদ্দিক
-
রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক
-
তারিক আহমেদ সিদ্দিক
এনআইডি লক মানে কী?
এনআইডি লক করার অর্থ হচ্ছে—উক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র আর যাচাই, সংশোধন বা তথ্য পরিবর্তনের জন্য খোলা নয়। অর্থাৎ, এসব এনআইডির তথ্য সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানে যাচাই করাও সম্ভব হবে না। এমনকি যারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এনআইডি তথ্য যাচাই করে, তারাও এই লক করা পরিচয়পত্রের কোনো তথ্য দেখতে পারবে না।
কেন এমন সিদ্ধান্ত?
এই পদক্ষেপের পেছনের কারণ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নিরাপত্তা, তথ্য সুরক্ষা বা রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রভাব কী হতে পারে?
এনআইডি লক থাকলে ব্যাংকিং, পাসপোর্ট আবেদন, জমির রেজিস্ট্রেশন, মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন সেবা গ্রহণে সমস্যা তৈরি হতে পারে। যদিও এরা সবাই ভিআইপি এবং কিছু ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা থাকলেও, প্রশ্ন উঠেছে—কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত?



















