close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারত সরকারের নীরব অবস্থান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশের হাই কমিশন। সোমবার, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল চিঠি পাওয়ার ব
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশের হাই কমিশন। সোমবার, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও, নয়াদিল্লি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। রণধীর জয়সওয়াল বলেন, "প্রত্যার্পণের বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ হাই কমিশন থেকে একটি নোট ভার্বাল পেয়েছি আমরা। বর্তমানে এই বিষয়ে মন্তব্য করার মতো কিছু নেই।" বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও এ বিষয়ে মন্তব্য করে জানান, "সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য বাংলাদেশ ফেরত চেয়েছে। ভারতকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।" কেন শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হচ্ছে? ২০১৮ সালে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। দেশ ছাড়ার পর তার বিরুদ্ধে ২৩৩টি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়, যার মধ্যে ১৯৮টি মামলায় খুনের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাইদুর রহমান হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করে। ভারতের অবস্থান এবং ড. ইউনূসের ইঙ্গিত ভারত সরকার এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও, গত অক্টোবর মাসে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছিলেন, "হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। আদালতের রায় ঘোষণার পর আমরা ভারতের সঙ্গে অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব।" বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার বর্তমানে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়। তবে ভারত সরকারের আনুষ্ঠানিক নীরবতা এই ইস্যুকে ঘনীভূত করেছে। অপেক্ষা কীসের? শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের প্রশ্নে ভারত ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেবে, তা এখন সময়ের অপেক্ষা। তবে বিষয়টি দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের আলোচনার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
No comments found