close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই নির্বাচন? অন্তর্বর্তী সরকারের রোডম্যাপে চমক!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ডিসেম্বর থেকে জুন—এই সময়ের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার ঘোষণা দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। বললেন, “যে যাই বলুক, জুনের পরে নয় একদম!” নির্বাচন প্রক্রিয়া ও বিএনপির অংশগ্রহণ..

ঢাকা, ১৬ এপ্রিল:
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারও তোলপাড়। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ সময়ের গুঞ্জনের অবসান ঘটাতে এক বড়সড় বার্তা দিল অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি জানালেন, “ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।” আর এই নির্বাচন কোনোভাবেই জুনের পরে গড়াবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব মন্তব্য করেন ড. আসিফ নজরুল। সেখানে তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের বিষয়ে কালক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—আমরা সেটি রক্ষা করবো।”

বিএনপির ‘আন্তরিকতা’ এবং বৈঠকের বিস্তারিত

আইন উপদেষ্টা বলেন, “সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিক। আমরা খুবই খোলামেলা পরিবেশে কথা বলেছি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে। কোনো পক্ষই বাধা সৃষ্টি করতে চায় না। বরং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান জানিয়ে কাজ করতে চাই আমরা সবাই।”

এর আগে দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে গঠিত প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ এবং ইকবাল মাহমুদ টুকু।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের জানান, “বৈঠকে নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়ার নানা বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।”

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা দুই মাস আগেই

ড. আসিফ নজরুল জানান, জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দুই মাস আগেই ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, “জনগণকে আমরা প্রস্তুত থাকার সুযোগ দেবো। আমরা স্বচ্ছতা এবং গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে চাই।”

শেখ হাসিনার বিচার বিলম্বিত হচ্ছে?

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ড. নজরুল বলেন, “শেখ হাসিনার বিচারে কোনো বিলম্ব হচ্ছে না। বিচারিক প্রক্রিয়া তার নিজস্ব গতিতেই চলছে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশ এখন যে সঙ্কটময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে, সেখানে দ্রুত নির্বাচন হওয়া এবং নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা পরিচালনা করাই প্রধান অগ্রাধিকার।”

বিএনপির প্রত্যাশা ও বক্তব্য

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ, রাজনৈতিক সংকট, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে আমাদের বক্তব্য উপদেষ্টাকে জানাবো। আশা করি, একটি অংশগ্রহণমূলক এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”


এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো—শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে কি নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ? অন্তর্বর্তী সরকারের দৃঢ় অবস্থান এবং বিএনপির সক্রিয় অংশগ্রহণ ইঙ্গিত দিচ্ছে, দেশে একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক রদবদল আসন্ন। ডিসেম্বর থেকে জুন—এই সময়ের মধ্যে জাতির চোখ থাকবে নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের ওপর।

Aucun commentaire trouvé