সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য তাকে ফেরত চাওয়া হয়েছে। তবে ভারত তাকে ফেরত দেওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, সরকারের অনুরোধ সত্ত্বেও ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে আগ্রহী নয়। সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় ভারত ঘনিষ্ঠ মিত্রকে বিসর্জন দেবে না। এই ধরনের প্রত্যর্পণ ঘনিষ্ঠ মিত্রদের কাছে ভুল বার্তা দিতে পারে, যা ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানের জন্য ক্ষতিকর।
ভারতের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি
উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের চাপ থাকা সত্ত্বেও ভারত এই বিষয়ে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করা হবে, যা সম্পন্ন হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ভারতের স্বার্থ রক্ষা করেছেন এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছেন। তিনি উগ্রপন্থিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন, যা ভারতীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
রাজনৈতিক জটিলতা এবং প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা
দুই দেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অনুরোধ কার্যকর করার সুযোগ নেই। এমন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠালে তা একটি অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করছে ভারত।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার দেশে ফেরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। ভারত বিষয়টি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করছে।
ঐতিহাসিক পটভূমি
ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান নতুন কিছু নয়। ১৯৭৫ সালে তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভারতে শেখ হাসিনার উপস্থিতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে পারে। এতে আওয়ামী লীগের মনোবল বাড়তে পারে এবং তারা পুনরায় দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
No comments found



















