close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

শেখ হাসিনা সরকারের সাথে বিএনপির ছাত্রদের দূরত্ব: নতুন রাজনৈতিক সংকটের জন্ম

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশে রাজনীতির আঙিনায় এক নতুন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। আন্দোলনরত ছাত্রদের সাথে, বিশেষ করে সরকার বিরোধী ছাত্রদের মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়ছে। এ প্রসঙ্
বাংলাদেশে রাজনীতির আঙিনায় এক নতুন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। আন্দোলনরত ছাত্রদের সাথে, বিশেষ করে সরকার বিরোধী ছাত্রদের মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে, বিশেষত নির্বাচন এবং সংবিধান সংশোধন ইস্যুগুলোতে বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও সরকারের মধ্যে গম্ভীর মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি ও সরকার একে অপরের প্রতি তাদের অবস্থান আরও কঠোর করেছে, বিশেষত রাষ্ট্রপতি পরিবর্তন ও 'জুলাই বিপ্লব' ঘোষণাপত্রের বিষয়গুলোতে। নতুন সংকটে বিএনপি ও সরকারের সম্পর্ক বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যিনি দেশটির বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর কঠোরভাবে মন্তব্য করছেন, তিনি জানিয়েছেন যে, দলটি আগেই বলেছে যে তারা 'আর্লি ইলেকশন' চায়। তবে সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে কিছু অপ্রয়োজনীয় দূরত্ব তৈরি করেছে, যা তাদের মধ্যে বাড়তে থাকা আস্থাহীনতার দিকে ইঙ্গিত দেয়। ছাত্রদের ভূমিকা ও রাজনৈতিক কৌশল বিএনপির সাথে ছাত্র আন্দোলনকারীদের সম্পর্ক বেশিদিনের জন্য ভাল ছিল না, তবে সম্প্রতি এই সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ছাত্ররা যেভাবে সরকারের বিরোধিতা করছে এবং রাজনৈতিক দাবি তুলছে, তা বিএনপির সাথে সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে, বিএনপি যখন 'জুলাই ঘোষণাপত্র' সম্পর্কে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে, তখন তা ছাত্রদের মধ্যে আরও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কী বলছেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরীন বলেছেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ এবং 'জুলাই ঘোষণাপত্র' এর বিষয়টি ছাত্রদের একতার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ এর মাধ্যমে বিএনপি সরকার এবং ছাত্র আন্দোলনকারীদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করেছে। তিনি আরও বলেন, ছাত্ররা যেভাবে নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা বিএনপি মেনে নিতে পারছে না। সংশোধন ও নির্বাচনের ভবিষ্যৎ গত আগস্টে, বিএনপির দ্রুততম সময়ের নির্বাচনের দাবি ছিল, কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে কোনো নিশ্চিত মন্তব্য করেননি। একদিকে বিএনপি তাদের নির্বাচন এবং সংবিধান সংশোধনের দাবি জানাচ্ছে, অন্যদিকে সরকার ছাত্রদের জন্য সহানুভূতির সাথে নির্বাচন এবং সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে। বিএনপির মতে, সরকারের ইতিবাচক মনোভাবের অভাব এবং বৈষম্য তাদের দাবির প্রতি অবিচল মনোভাব সৃষ্টি করেছে। সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ: রাজনৈতিক উত্তেজনা ও ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকা বিএনপির জন্য এই রাজনৈতিক সংকট আরও বড় হতে পারে যদি তারা জনগণের আশা ও দাবির সাথে সমন্বয় না করতে পারে। বিশেষ করে, ছাত্ররা যে রাজনৈতিক পরিবর্তনের কথা বলছে এবং সরকার থেকে দাবি করছে, তা দীর্ঘমেয়াদে বিএনপির সাথে বিরোধে পরিণত হতে পারে। বিএনপি ও ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব আরও বাড়বে, এমনকি সরকার যদি নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণে দেরি করে, তাও রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে। শেষ কথা: দুর্বল সম্পর্ক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন এবং সংস্কার সংক্রান্ত স্থির সিদ্ধান্ত না আসে, তবে বিএনপি ও ছাত্র আন্দোলনকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে, এবং জনগণের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। এই অস্থিরতার মধ্যে বিভিন্ন দলের প্রতিক্রিয়া ও অবস্থান আরও স্পষ্ট হতে পারে। তবে, সবকিছু নির্ভর করছে কীভাবে সরকার এবং বিরোধী দল সমঝোতায় আসতে পারে, এবং কীভাবে তারা জনগণের আস্থার পুনর্স্থাপন করতে পারে।
No comments found


News Card Generator