close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

শাপলা প্রতীকে বিপ্লবের ডাক: জাতীয় সরকার গঠনের স্বপ্নে এনসিপি’র আত্মপ্রকাশ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবার ‘শাপলা’ প্রতীককে সামনে রেখে রাজনীতির মাঠে হঠাৎ ঝড় তুলেছে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন চেয়ে তারা জানালো— এই প্রতীকেই বাংলাদেশের মানুষ বিপ্লব ঘটাবে এবং এনসিপির নেতৃত্বেই গঠ..

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবার নির্বাচনী লড়াইয়ে ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে হাজির হয়েছে। রবিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনে দলের নিবন্ধনের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন করে তারা। দলটির শীর্ষ নেতারা দাবি করছেন, আগামী নির্বাচনে এই প্রতীকই হবে দেশের নতুন বিপ্লবের প্রতীক— যার মাধ্যমে গঠিত হবে "জাতীয় সরকার"।

প্রধান নির্বাচন ভবনে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। এ সময় তিনি বলেন, “আমরা আরপিও অনুযায়ী সব শর্ত পূরণ করেছি। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছেন এবং রিসিভ কপি দিয়েছেন।”

তিনি আরও জানান, এনসিপি দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। “এই দল কোনো একটি গোষ্ঠীর নয়, এটি গোটা দেশের মানুষের দল। গণঅভ্যুত্থানের ডাকে যারা সাড়া দিয়েছে, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নেই এনসিপি কাজ করছে,”— বলেন আখতার হোসেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা তিনটি প্রতীক নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছি— শাপলা, কলম এবং মোবাইল। তবে আমাদের প্রত্যাশা একটাই, শাপলাই হোক আমাদের দলীয় প্রতীক। কারণ এই প্রতীকের ভেতরেই দেশের মানুষ নিজের পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা খুঁজে পায়।”

এসময় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী আরও এক ধাপ এগিয়ে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক রূপরেখা উপস্থাপন করেন। তিনি দাবি করেন, “বর্তমান পার্লামেন্ট জনশূন্য। আমরা বিশ্বাস করি, আগামি সংসদে ৪০০ আসনের মধ্যে ৩০০ আসন এনসিপি পাবে ইনশাআল্লাহ। এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে আমরা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করবো।

তিনি বলেন, “গণপরিষদের সংস্কারের যে স্বপ্ন দীর্ঘদিন থেকে মানুষ দেখে আসছে, এনসিপি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত। ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে এবার মানুষ নিজের সরকার নিজেই গঠন করবে— শাপলা মার্কার মধ্য দিয়েই।

নাসির উদ্দীন আরও যোগ করেন, “শুধু প্রতীক নয়, এটি আমাদের রাজনৈতিক আদর্শের প্রতীক। ৫ তারিখের গণঅভ্যুত্থানে যেমন আমরা জয়লাভ করেছিলাম, তেমনি এবার ব্যালট যুদ্ধে শাপলা প্রতীক হবে জয়-জয়কারের হাতিয়ার।”

এনসিপির নেতারা জানান, তারা সংগঠনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটির ডকুমেন্টস ও সদস্য ফরমসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজ নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছেন।

উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবং তারা জানান— এনসিপি এখন শুধু একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি একটি জাতীয় আন্দোলনের রূপ নিচ্ছে।

এই আবেদন ও ঘোষণার মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, এনসিপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে একটি নতুন শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়। তাদের ভাষায়, জনগণের ভোটেই বদলে যাবে দেশের ভাগ্য, শাপলার প্রতীকে হবে ‘ব্যালট বিপ্লব’। এখন প্রশ্ন হলো— নির্বাচন কমিশন কি তাদের প্রত্যাশামতো শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেবে? আর জনগণই বা কীভাবে সাড়া দেবে এই নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগে?

コメントがありません