শাহবাগ আন্দোলন এবং আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিবাদী’ রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম সরাসরি প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (রাত ১২:৩০টায়) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের আহ্বান
সাদিক কায়েম তার পোস্টে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশপন্থি ব্যক্তিবর্গ ও সংগঠনগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে দেশবিরোধী শক্তি লাভবান হচ্ছে। বিশেষ করে, তারা শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী লাকি আক্তারকে পুনর্বাসন করছে, যা রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি বলেন,
“শাহবাগের মাধ্যমেই হাসিনার ফ্যাসিজমের উত্থান ও পূর্ণতা ঘটেছে।”
“লাকিরা ছিল আওয়ামী লীগের চেতনা ব্যবসার ইনভেস্টমেন্ট ও রক্ষাকবচ।”
“শাহবাগের মবোক্রেসি (জনতা দ্বারা শাসন) দেশের প্রতিবাদী নাগরিক, উলামা, হুফফাজ ও কারিদের হত্যা করেছে।”
তিনি আরও বলেন, শাহবাগের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই, বরং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের প্রতিহত করা জরুরি।
শাহবাগীদের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি
সাদিক কায়েম শাহবাগ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,
“জুলাইয়ের যে প্রজন্ম ফ্যাসিবাদ, মুজিববাদ ও শাহবাগিতার পতন ঘটিয়েছে, তারা যেকোনো অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পিছপা হবে না।”
তিনি দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শাহবাগের ‘ফ্যাসিবাদী’ চেতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
শাহবাগ আন্দোলন ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
শাহবাগ আন্দোলন ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠে। তবে, সমালোচকদের মতে, এটি আওয়ামী লীগের একক স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমনের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে।
পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিচ্ছে?
সাদিক কায়েমের বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক মেরুকরণ আরও তীব্র হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে, শাহবাগ আন্দোলনের পুনরুজ্জীবনকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক উত্তাপ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।