close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা। তাদের তিনটি প্রধান দাবি রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে প্রথমত, আহতদের স্বীকৃতি এবং দ্বিতীয়ত, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। পাশাপাশি, এই আন্দোলনকারীরা মাসিক ভাতা এবং কর্মসংস্থানসহ সরকারের নিকট বিশেষ আবেদন জানাচ্ছেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি, সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে শাহবাগ মোড়ে বাংলামোটর অভিমুখী লেন অবরোধের মাধ্যমে তারা প্রতিবাদ জানান। তাদের অবস্থানের কারণে ওই পথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জানা যায়, আজ সকাল ১১টা থেকে শাহবাগে অবস্থান নিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য ২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ জানান, আন্দোলনকারীরা বিএসএমএমইউর সামনে সড়কে অবস্থান করছেন, তবে অন্য লেনগুলো দিয়ে যান চলাচল করছে। তিনি আরও জানান, আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিয়ে তাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা করছেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি
এ আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবি হলো, আহতদের দুটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হোক। প্রথম ক্যাটাগরি হলো, যারা স্থায়ীভাবে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন, তাদের জন্য মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা এবং এককালীন ভাতা প্রদান করা হোক। সেইসঙ্গে, তাদের পরিবারের দায়িত্বশীল সদস্যদের জন্য সরকারি বা আধা-সরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরি হলো, যারা সেরে উঠেছেন এবং কর্মক্ষম আছেন, তাদের জন্য ১৫ হাজার টাকা মাসিক ভাতা এবং এককালীন ভাতার ব্যবস্থা করা হোক, এবং তাদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
এই আন্দোলনের আরেকটি প্রধান দাবি হলো, গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হোক। এই আইনটি সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের হুমকি, হয়রানি বা হত্যাচেষ্টা হলে সর্বোচ্চ শান্তির বিধান রাখবে।
মানসিক সুরক্ষা ও হটলাইন চালুর দাবি
আন্দোলনকারীরা আরো দাবি জানিয়েছেন, আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মানসিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাউন্সেলিং ব্যবস্থা এবং তাদের সমস্যা সমাধানে টোল-ফ্রি হটলাইন চালু করা হোক। এর মাধ্যমে তারা মানসিকভাবে আরও সুরক্ষিত থাকতে পারবেন এবং যেকোনো ধরনের হুমকি বা সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত সহায়তা পেতে পারবেন।
এই দাবিগুলোর প্রতি সরকারের যত দ্রুত সাড়া দেয়া হবে, তত দ্রুত আহতদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব হবে এবং তাদের সমাজে পুনর্বাসন সহজ হবে। আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
Ingen kommentarer fundet



















