বাংলাদেশের প্রশাসনিক কেন্দ্র সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো ব্যক্তির সরাসরি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা হতে পারে।
কী ঘটেছিল?
সম্প্রতি সচিবালয়ের একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে, যা দ্রুতই চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট কাজ করে। এই ঘটনায় তৎক্ষণাৎ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, যারা অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং সম্ভাব্য সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করার দায়িত্বে ছিলেন।
তদন্তের ফলাফল
তদন্ত কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, "আমরা অগ্নিকাণ্ডের পেছনে কোনো ব্যক্তির ইচ্ছাকৃত সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাইনি। এটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে ঘটতে পারে।" তবে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিভিন্ন সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।
সুপারিশসমূহ
১. সচিবালয়ের সব ভবনে আধুনিক ফায়ার সেফটি সিস্টেম স্থাপন।
২. কর্মীদের জন্য অগ্নি-নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা।
৩. বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সরঞ্জামগুলোর নিয়মিত তদারকি।
জনসাধারণের উদ্বেগ
সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ ধরনের ঘটনা সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। যদিও তদন্ত কমিটি কোনো ব্যক্তিকে দায়ী করেনি, তবে ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই ঘটনার পর সচিবালয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
没有找到评论