আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো মামলা না থাকলেও তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পুলিশ বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জে বিকেএমইএ ভবনে এক অনুষ্ঠান শেষে ছাত্র-জনতার দাবির মুখে তিনি এ ঘোষণা দেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন বিকেএমইএর পক্ষ থেকে জেলা ও শিল্প পুলিশকে গাড়ি উপহার দেওয়ার একটি অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা ফিরছিলেন। তখন ছাত্রনেতারা তার পথ রোধ করে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার এবং আওয়ামী লীগ ও ওসমান পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতারসহ সাত দফা দাবি জানান। ছাত্ররা অভিযোগ করেন যে, পুলিশ অনেক সময় ‘মামলা নেই’ এই অজুহাতে অপরাধীদের গ্রেফতার থেকে বিরত থাকছে। ছাত্রদের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপদেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সীকে তলব করেন।
উপদেষ্টা অত্যন্ত কঠোর ভাষায় পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন যে, সন্ত্রাসী যেই হোক এবং তার বিরুদ্ধে আগে থেকে মামলা থাকুক বা না থাকুক, তাকে গ্রেফতার করতে হবে। তিনি পরিষ্কার করে দেন যে, জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বা জননিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানো কোনো ব্যক্তি যেন ছাড় না পায়। প্রশাসনের এই অবস্থান থেকে বিচ্যুত হলে পুলিশকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
বক্তব্যের একপর্যায়ে উপদেষ্টা ওসমান হাদির ওপর হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তিনি জানান, মূল অভিযুক্তকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব না হলেও তার ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং সহযোগীকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অপরাধীদের ধরার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনো শৈথিল্য বরদাস্ত করা হবে না বলে তিনি আবারও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই নির্দেশের পর জেলা পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ ইতিমধ্যেই চিরুনি অভিযান ও চেকপোস্টের মাধ্যমে কাজ শুরু করেছে।



















