দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করতে গিয়ে স্ত্রীর বিশ্বাসঘাতকতায় হতভাগ্য পিন্টু বেজের জীবন পাল্টে গেল!
পশ্চিমবঙ্গ, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: ভারতের হাওড়ার সাঁকরাইলে একটি দুঃখজনক ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে এক হতভাগ্য স্বামীকে কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করেন তার স্ত্রী। এই কিডনি বিক্রির টাকা নিয়ে পরবর্তীতে স্ত্রীর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের হাওড়ার সাঁকরাইলে, যেখানে পিন্টু বেজ নামের এক যুবক তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন।
পিন্টু বেজ (৪১) এবং তার স্ত্রী সুপর্ণা বেজের সংসারে প্রায় ১৬ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছিল। তাদের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে সংসারে অর্থনৈতিক সংকট চলছিল, যার ফলে স্ত্রীর অনুরোধে পিন্টু সিদ্ধান্ত নেন নিজের কিডনি বিক্রি করার। প্রায় এক বছরের চেষ্টা ও তন্ন তন্ন খোঁজার পর, তিন মাস আগে তিনি ১০ লাখ রুপিতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সোয়া ১৪ লাখ টাকা) নিজের কিডনি বিক্রি করেন।
এই টাকা দিয়ে তিনি আশা করেছিলেন, সংসারের দারিদ্র্য কমবে এবং মেয়ের বিয়ের খরচও মেটানো যাবে। কিন্তু তার অজান্তেই, তার স্ত্রী সুপর্ণা এর মধ্যে ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তোলেন একজন ব্যক্তির সঙ্গে এবং কিডনি বিক্রির টাকা নিয়ে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় হতভাগ্য পিন্টু বেজ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং স্ত্রীর অবস্থান জানাতে তিনি তার পরিবার, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে সেখানে হাজির হন। কিন্তু তার স্ত্রী উল্টো তাকে ডিভোর্স দেয়ার হুমকি দেন এবং বলেন, ‘যা পারো, করো!’
পিন্টু বেজ এখন আর্থিক এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তদন্তকারীদের মতে, পিন্টুর স্ত্রী ইতিমধ্যেই লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে, তিনি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন এবং এখন তার প্রেমিকের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতো জীবন কাটাচ্ছেন। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পিন্টুর জীবন একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে।
Keine Kommentare gefunden