close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ অর্জন এসেছে দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনা, রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও অসংখ্য আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে। রাষ্ট্রপতি জানান, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে যে স্বপ্নের বীজ রোপিত হয়েছিল, তা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায়। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের পর ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, "১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে আমরা পেয়েছি কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। আজ আমরা একটি সার্বভৌম দেশ, পবিত্র সংবিধান, নিজস্ব মানচিত্র এবং লাল-সবুজ পতাকার গর্বিত অধিকারী। এ বিজয়ের দিনে আমি দেশে ও প্রবাসে থাকা সব বাংলাদেশিকে জানাই উষ্ণ অভিনন্দন।"
তিনি বলেন, "আজকের দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি বীর শহীদদের, যাদের আত্মত্যাগে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। জাতীয় নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, সম্ভ্রমহারা মা-বোন, যুদ্ধাহত পরিবার, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং বিদেশি বন্ধুদের অবদান জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে।"
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন যে, মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়, বরং বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তিও। যুদ্ধের পর অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং কৃষি বিপ্লবের মাধ্যমে উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। তিনি বলেন, "বিজয়ের পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও অর্থনৈতিক মুক্তির পূর্ণ লক্ষ্যে পৌঁছানো এখনো সম্ভব হয়নি। গণতান্ত্রিক যাত্রা বারবার বাধাগ্রস্ত হলেও বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি থেমে থাকেনি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের মতো ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।"
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, "ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আমাদের দেখিয়েছে একটি দুর্নীতিমুক্ত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি, অচিরেই সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে।"
আন্তর্জাতিক বিষয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, "বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী। ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সবসময় ন্যায়বিচারের পক্ষে থাকবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুর স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর ভূমিকার প্রত্যাশা করি।"
প্রবাসীদের অবদানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, "প্রবাসী ভাইবোনেরা তাদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্সের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। বিশ্বমন্দার এই সময়ে আমি আশা করি তারা তাদের রেমিট্যান্স অব্যাহত রাখবেন।"
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশবাসীকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং পরমতসহিষ্ণু রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "আসুন, বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করি এবং শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তুলি।"
তিনি আরও বলেন, "মহান বিজয় দিবসে আমার প্রত্যাশা, আমরা একসাথে কাজ করে উন্নত-সমৃদ্ধ এক নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
No comments found



















