close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসাতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সরকারি ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের ত্বরান্বিত উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।..

দেশের সব সরকারি ভবনের ছাদে রুফটপ সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংশ্লিষ্টদের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ শীর্ষক বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য একটি ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন। এর আওতায় শুধু সরকারি অফিসের নয়, সরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং হাসপাতালগুলোর ছাদেও রুফটপ সোলার সিস্টেম স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস বৈঠকে বলেন, সরকারি ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর কাজ বেসরকারি উদ্যোগেও করা যেতে পারে। এর ফলে যারা এই কাজটি করবে, তারা নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থে সোলার সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণ ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করবে। সরকার শুধুমাত্র ছাদ প্রদান করবে, বাকি কাজ সম্পূর্ণভাবে বেসরকারি সংস্থা পরিচালনা করবে।

তিনি আরও বলেন, "বর্তমানে যেসব প্রতিষ্ঠান রুফটপ সোলার ব্যবহার করছে, তাদের অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করা অত্যন্ত জরুরি। তারা কি ধরনের সমস্যায় পড়েছে, সেগুলো আমাদের জানাতে হবে এবং দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।"

প্রধান উপদেষ্টা এ ব্যাপারে আরও জানান, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যুৎ বিল থেকে মুক্ত থাকবে এবং সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত ছাদের জন্য তারা ভাড়া পাবেন।

বৈঠকে জানানো হয়, ইন্টারন্যাশনাল রিনিউবেল এনার্জি এজেন্সির ২০২৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশের তুলনায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ভারতে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২৪ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৭.১৬ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ৩৯.৭ শতাংশ বিদ্যুৎ সৌর থেকে উৎপাদিত হয়, যেখানে বাংলাদেশে মাত্র ৫.৬ শতাংশ।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদন করতে হবে। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ৫৫টি স্থলভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, যার ক্ষমতা ৫ হাজার ২৩৮ মেগাওয়াট। তবে, এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

No comments found