close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় সীমানা প্রাচীর দখলে প্রতিপক্ষের জখম খুন ধামকি..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী দোসর মোঃ খায়রুল আলমের নেতৃত্বে সীমানা প্রাচীর দখলে প্রতিপক্ষকে খুন জখম সহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি এবং মারপিটের অভিযোগ উঠেছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী দোসর মোঃ খায়রুল আলম কর্তৃক সীমানা প্রাচীর দখল করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি এবং মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩ মে '২৫) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে আশাশুনির সোদকোনা গ্রামের মৃত ইয়াছিন গাজীর ছেলে মোঃ মেহের আলী এই অভিযোগ করেন।


লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আশাশুনি ধান্যহাটি মৌজায় ৪৪ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমি ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু সোদকোনা গ্রামের মৃত আলতাফ মিস্ত্রীর ছেলে আ’লীগের দোসর এলাকার কুখ্যাৎ সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু মোঃ খায়রুল আলমের নেতৃত্বে খুরশিদ আলম, মুরশিদ আলম, মোঃ আসিফ ইকবাল, মোঃ যুবরাজ হোসেন, মোঃ মোখলেছুর রহমান, মোঃ সাকিব হোসেন, মোঃ কালাম হোসেন, মোঃ সম্রাট হোসেন, মোঃ হাবিবুল্লাহসহ প্রায় ১০/১২ জন সন্ত্রাসী গত ২৭ এপ্রিল জোরপূর্বক সীমানা নির্মাণ করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খবর পেয়ে আমিসহ আমার ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাচীর নির্মাণে বাঁধা দিলে খায়রুল আলমের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, শাবল দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে আমাদের গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এসময় আমাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। পরে এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে সন্ত্রাসী বাহিনী স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।


তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে ঐদিন সন্ধ্যায় হযরত আলী স্থানীয় বাজারে গেলে সেখানেই সাকিব গং এলোপাতাড়ি ভাবে তার উপর আক্রমণ করে গুরুতর আহত করে। পথচারী হযরতকে উদ্ধার করে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরবর্তীতে হযরত আলীকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হযরত আলী চিকিৎসাধীন রয়েছে। ২৮ এপ্রিল বেলা ১০টার দিকে ইসমাইল গাজীকে পোস্ট অফিসের সামনে একা পেয়ে মোখলেছ বাহিনীর প্রায় ৯/১০ জন তার উপর আক্রমণ করে গুরুতর আহত করে। তখন থেকেই তারা সর্বদা হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের অব্যহত হুমকি ধামকিতে ভয়ে  আমরা এলাকায় যেতে পারছি না। বর্তমানে আমরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তারা যে কোন সময় আমাদের জমি দখলসহ মারাত্মক খুন জখমের মতো জঘন্য কাজ করতে পারে। এ ব্যাপারে আশাশুনি থানায় গত ২৯ এপ্রিল একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


তিনি অভিযোগ করে বলেন, জমির বিষয়ে ইতিপূর্বে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা সালিশ হয়েছে। কিন্তু গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কোন সমাধান দিতে না পেরে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। তখন উক্ত বিষয়ে কোর্টে মামলা করা হয়( যার নং-১১৯/২০১৬)। মামলাটি বর্তমানে চলমান।


তিনি অবৈধভাবে প্রাচীর নির্মাণ বন্ধ করতে এবং সন্ত্রাসীদের হুমকি ধামকির হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুরিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

कोई टिप्पणी नहीं मिली