close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় পৈত্রিক জমি দখলের অভিযোগ: আদালতে মামলা, মালিক অসহায়..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরার দেবহাটায় মোহাম্মাদ আলীর বিরুদ্ধে পৈত্রিক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। জমির মালিক সৈয়দ আবুল ফজল আদালতে মামলা করেও সুরাহা পাননি..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটায় পৈত্রিক জমি দখলের অভিযোগের মুখে পড়েছেন মোহাম্মাদ আলী। ভূমি মালিক সৈয়দ আবুল ফজল দীর্ঘদিন ধরে এই জমি ফিরে পেতে বিভিন্ন আইনগত পদক্ষেপ নিলেও এখনও কোনো সুরাহা পাননি। 

সৈয়দ আবুল ফজল জানান, দেবহাটা মৌজার এসএ ৬০৮, হাল দাগ ১৮৫০ এর মধ্যে ৭৫ শতক জমির মধ্যে তার ৩৫ শতক অংশ রয়েছে। এই জমি তার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত এবং তিনি সেই মোতাবেক জমি ভোগদখল করে আসছেন। তার পরিবার সাতক্ষীরা শহরে বসবাস করার কারণে ১৯৮০ সালে কোঁড়া গ্রামের আসমাতুল্লাহ গাজীকে বর্গা চাষি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

আসমাতুল্লাহ গাজী দীর্ঘদিন ধরে জমিটি চাষাবাদ করে আসছিলেন এবং সেখানে একটি মাটির কাঁচাঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। পরে জমির মালিক পক্ষের অনুমতি নিয়ে সেখানে আরো কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করেন। কিন্তু পারিবারিক বণ্টননামা অনুসারে ৩৭ শতক জমি আবুল ফজলের অংশে পড়লে তিনি আসমাতুল্লাহকে অন্যত্র ঘর নির্মাণের অনুরোধ জানান।

তবে আসমাতুল্লাহ গাজী এবং পরবর্তীতে তার ছেলে মোহাম্মাদ আলী এই জমি থেকে সরে যাননি। বরং মোহাম্মাদ আলী চুক্তি অমান্য করে ৭ শতকের পরিবর্তে আরো ২০ শতক জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেন। এ বিষয়ে গ্রাম্য আদালতে মামলা করা হলেও কোনো সমাধান হয়নি।

মোহাম্মাদ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং দাবি করেন যে, চুক্তি অনুযায়ী জমি দখল করেছেন। তবে তিনি জানান, জমির অতিরিক্ত অংশ ব্যবহারের প্রয়োজন ছিল এবং তিনি দাম দিয়ে তা সমাধান করতে রাজি।

এমতাবস্থায় জমির মালিক সৈয়দ আবুল ফজল বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও জমি ফেরত পেতে অসহায় হয়ে বিভিন্ন দফতরে ঘুরছেন। তিনি আদালতে মামলা করেও কোনো সমাধান পাননি এবং জমি ফিরে পেতে এখনো তার সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে।

এই ঘটনা স্থানীয় পর্যায়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের একটি উদাহরণ যা বিভিন্ন সামাজিক ও আইনি জটিলতার সৃষ্টি করছে। জমির মালিকপক্ষের দাবি অনুযায়ী, এ ধরনের ঘটনা সমাজের শান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator