close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
সাত বছর পর জনসমাবেশে খালেদা জিয়া: বিজয় দিবসে ইতিহাসের সাক্ষী হতে প্রস্তুত বিএনপি


বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রায় সাত বছর পর জনসমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আগামী ২১ ডিসেম্বর ঢাকার চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা দলের আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, ২০১৭ সালের পর এই প্রথমবারের মতো জনসমাবেশে দেখা যাবে দলের শীর্ষ নেত্রীকে। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশে বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। এরপর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় কারাগারে যাওয়ার আগে গুলশান কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন।
দলীয় সূত্র মতে, শনিবার গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। তারা খালেদা জিয়াকে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার অনুরোধ জানান। তিনি প্রাথমিকভাবে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে দলটির নেতারা।
এছাড়া রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, “আল্লাহ ম্যাডামকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখলে তিনি সমাবেশে উপস্থিত থাকতে পারেন।”
রাজনৈতিক অঙ্গনে জোরালো আলোচনা
খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিন পর সমাবেশে অংশ নেওয়ার খবর রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে এমন একটি জনসমাগমে তার অংশগ্রহণ বিএনপির জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ইতোমধ্যেই উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, খালেদা জিয়ার এই সমাবেশে অংশগ্রহণ দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করবে এবং আগামী দিনের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন গতি আনবে।
২০১৭ সালের সেই ঐতিহাসিক সমাবেশে খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সাত বছর পর আবারও সমাবেশে তার ভাষণ শোনার জন্য দলীয় নেতাকর্মীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
আগামী ২১ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপির নেতৃবৃন্দ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি দেশের রাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত হয়ে উঠবে।
খালেদা জিয়ার এই অংশগ্রহণ শুধু তার দলের জন্য নয়, বরং দেশের রাজনীতিতে নতুন সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জের সূচনা করতে পারে। বিজয় দিবসের এই সমাবেশ তাই দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
Ingen kommentarer fundet