close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সারজিস আলমের বন্ধুর বাসা থেকে তিন বস্তা টাকা উদ্ধার, যা জানা গেল..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে—জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলমের বন্ধুর বাসা থেকে উদ্ধার হয়েছে তিন বস্তা টাকা। ভিডিওটি মিলিয়নবার দেখা হলেও রিয়ালিটি সম্পূর্ণ ভিন্..

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দাবি করা হয়—জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বন্ধুর বাসা থেকে তিন বস্তা টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বলা হয়, ঈদের পরে এনসিপির রাজনৈতিক প্রচারণার খরচ হিসেবে সারজিস আলম এই টাকা সেখানে রেখেছিলেন।

ভিডিওতে সারজিস আলমের ছবিসহ ক্যাপশন যুক্ত করে ঘটনাটি উপস্থাপন করা হয়, যা প্রচারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১০ লাখেরও বেশি বার দেখা হয়। বিভিন্ন পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল এই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। ফলে সারজিস আলমকে নিয়ে জনমনে তীব্র আলোচনা তৈরি হয়।

তবে রিউমর স্ক্যানার টিম বিষয়টির অনুসন্ধানে নামে। ভিডিওটির কিছু দৃশ্য রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখা যায়, এটি আসলে ২০২৫ সালের ৫ জুন তারিখে কালের কণ্ঠ ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিও থেকে নেওয়া হয়েছে।

ভিডিওটির শিরোনাম ছিল

মা/দ/ক বিক্রির চার বস্তা টাকাসহ একজনকে আ/ট/ক করলো যৌথ বাহিনী

এই ভিডিওটি মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে যৌথ বাহিনীর (সেনাবাহিনী ও র‍্যাব-২) অভিযান সংক্রান্ত। ভিডিওতে তিন বা চার বস্তা টাকা দেখা গেলেও সারজিস আলম কিংবা এনসিপির কারো নামই নেই।

এই ভিডিওর সূত্র ধরে, প্রথম আলো-তে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনেও মেলে ভিডিওটির সত্যতা। ২০২৫ সালের ৫ জুন “জেনেভা ক্যাম্পে অভিযান: মাদক বিক্রির আড়াই কোটি টাকাসহ গ্রেপ্তার ১০” শিরোনামে রিপোর্ট প্রকাশ করে তারা।

সেখানে বলা হয়:

  • অভিযানে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

  • গ্রেফতার হন: মো. ইসহাক আহমেদ, মো. চুম্মন, মো. রবিউল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম বিজয়সহ আরও ১০ জন।

এদের কারো সাথেই সারজিস আলমের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।

এটাই আসল প্রশ্ন।
কোনো প্রমাণ ছাড়া এমন একটি ভিডিওর মাধ্যমে সারজিস আলমকে অপবাদ দিয়ে একটি মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়, যা চরিত্র হননের ষড়যন্ত্র বলেই মনে করা হচ্ছে।

সামাজিক মাধ্যমে কারো নাম, ছবি ও পুরনো ভিডিও ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো একটি দণ্ডনীয় অপরাধ, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় পড়ে।

  • ভিডিওটি ২০২৫ সালের ৪ জুন মোহাম্মদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানের।

  • উদ্ধারকৃত টাকা মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল।

  • সারজিস আলম বা তার কোনো বন্ধু এ ঘটনায় জড়িত নয়।

  • ভিডিওকে বিকৃত করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।

ভিডিও ভাইরাল হলেই তা সত্য নয়। তথ্য যাচাই করুন, গুজব ছড়াবেন না।
এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো—সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ-কান খোলা না রাখলে খুব সহজেই মিথ্যার শিকার হওয়া যায়।

Walang nakitang komento