কুমিল্লার দেবিদ্বারে আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ভারতের বৈরী আচরণ ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ভারত বাংলাদেশের প্রায় ৩০ হাজার চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এসব নেতাকর্মী সেখানে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে এবং তাদের প্রত্যক্ষ মদদ দিচ্ছে ভারত সরকার।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক দাতা-গ্রহীতার নয়, বরং সমমর্যাদার হওয়া উচিত। সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আপনারা যদি আমাদের সীমান্তে দেখা মাত্রই গুলি করেন, তবে আমরা আপনাদের সালাম দিয়ে বরণ করব না।" তিনি আরও যোগ করেন, যদি পালটা গুলি করার সামর্থ্য নাও থাকে, তবুও ঢিল ছুড়ে হলেও ভারতের এই বর্বরতার প্রতিবাদ জানাতে হবে। তিনি মনে করেন, আগের রাজনৈতিক প্রজন্ম ওপেনে প্রতিবাদ না করলেও গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর।
ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিষয়েও তিনি সোচ্চার ছিলেন। তিনি মন্তব্য করেন যে, টেলিভিশন এবং সিনেমার মাধ্যমে এ দেশের মানুষের ওপর ভারতীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে এ দেশের তরুণ প্রজন্মকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার লড়াইয়ে নামতে হবে। তিনি মনে করেন, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কেবল তরুণদের হাতেই নিরাপদ।
বৈঠকে তিনি ভারতের হাইকমিশনারকে বহিষ্কারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বলেন যে খুনিদের আশ্রয়দাতার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা সম্ভব নয়। তিনি সতর্ক করে বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করতে ব্যর্থ হয়, তবে বাংলাদেশকেও বিকল্প পথে হাঁটতে হবে। উঠান বৈঠকে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে।



















