সাংবাদিকদের নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচারের অভিযোগে যুবক গ্রে ফ তার..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ফেসবুকে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা তথ্য ও ছবি ছড়িয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে পিরোজপুরে গ্রেফতার হলেন ‘ডলার শহিদ’। সাইবার সুরক্ষা আইনে দায়ের হলো মামলা।..

ফেসবুকের ফেক আইডি থেকে ছড়ানো হলো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। একের পর এক বিভ্রান্তিকর পোস্টে যখন তোলপাড় স্থানীয় মহল, তখনই অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হলো অভিযুক্ত ‘ডলার শহিদ’কে। পিরোজপুর জেলা পুলিশের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ তাকে শনাক্ত করে, এরপর গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতায় তার গ্রেফতার সম্ভব হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুর জেলার মসিদ বাড়ী সড়ক এলাকায়। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি হলেন খান শহিদ ওরফে ডলার শহিদ (৪৮)। তিনি পিরোজপুর পৌরসভার বাসিন্দা এবং মজিবুল হক খানের ছেলে। স্থানীয়ভাবে তিনি একজন আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ সাবেক জনপ্রতিনিধির পিএস হিসেবেও পরিচিত।

এ প্রসঙ্গে পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, চলতি বছরের ১২ এপ্রিল, “পিরোজপুর সত্য বাণী” নামে একটি ফেক ফেসবুক আইডি থেকে কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিকের নাম ও ছবি ব্যবহার করে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রচার করা হয়।

পোস্টটিতে সরাসরি তিনজন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করা হয়—তানভীর আহমেদসহ। এ ছাড়াও দেশের শীর্ষ স্থানীয় জাতীয় গণমাধ্যমে কর্মরত আরও কয়েকজন সাংবাদিকের ছবিও সেখানে যুক্ত ছিল। উদ্দেশ্য ছিল, জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা।

শুধু একটি পোস্ট নয়, এই অপপ্রচারের পোস্টটি শেয়ার করা হয়েছিল অন্তত শতাধিক ফেসবুক গ্রুপে, যার ফলে এটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই জেলার সাংবাদিক মহলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

পুলিশ অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শহিদের সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়। এরপর অভিযান চালিয়ে শুক্রবার বিকেলে পিরোজপুর শহরের মসিদ বাড়ী সড়ক থেকে ডলার শহিদকে গ্রেফতার করে পিরোজপুর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম।

এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. তরিকুল ইসলাম জানান,সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর আওতায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে অভিযুক্ত শহিদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। প্রমাণ পাওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

এই ঘটনার পর সাংবাদিক সমাজ থেকে প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে এবং একইসাথে আরও সতর্কভাবে ফেক আইডি ও অনলাইন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সাইবার জগতে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এমন অভিযান নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। পিরোজপুরের এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো—ডিজিটাল অপরাধ করে পার পাওয়ার দিন আর নেই।

Walang nakitang komento