সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় বিপজ্জনক দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফিলিস্তিন ও পাকিস্তান।
মৃত্যুর পরিসংখ্যান:
২০২৪ সালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বিশ্বব্যাপী ৫৪ জন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচ জন বাংলাদেশি।
বিপজ্জনক দেশের তালিকা:
৯টি বিপজ্জনক দেশের মধ্যে ফিলিস্তিন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং মেক্সিকো শীর্ষস্থানে রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি:
ইসরাইলি বাহিনীর ভূমিকা:
২০২৪ সালে নিহত সাংবাদিকদের এক তৃতীয়াংশ ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন।
১৮ জন নিহত, যার মধ্যে ১৬ জন গাজায় এবং দুজন লেবাননে।
নজিরবিহীন সহিংসতা:
গাজার সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ১৪৫ জনেরও বেশি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন।
৩৫ জন সংবাদ সংগ্রহের সময় নিহত।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযোগ:
আরএসএফ ইতোমধ্যে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের চারটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
জিম্মি ও নিখোঁজ সাংবাদিক:
২০২৪ সালে ৫৫ জন সাংবাদিক জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন, যার ২৫ জন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হাতে।
নিখোঁজ রয়েছেন ৯৫ জন সাংবাদিক।
কারাবন্দি সাংবাদিক:
২০২৪ সালে সারা বিশ্বে ৫৫০ জন সাংবাদিক কারাবন্দি হয়েছেন।
শীর্ষ তিনটি দেশ:
চীন (১২৪ জন)
মিয়ানমার (৬১ জন)
ইসরাইল (৪১ জন)
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট:
বাংলাদেশে পাঁচ জন সাংবাদিকের মৃত্যু দেশটিকে তৃতীয় বিপজ্জনক অবস্থানে নিয়ে এসেছে। দেশের সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত চাপ, হুমকি, এবং সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলছে।
বিশ্বব্যাপী মতানৈক্য:
ইসরাইল সরকার আরএসএফের তথ্যের সত্যতা অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, সাংবাদিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে সামরিক লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না।
আরএসএফের প্রতিবেদন সাংবাদিকদের পেশাগত ঝুঁকির গুরুতর বাস্তবতা তুলে ধরেছে। ফিলিস্তিন, পাকিস্তান, এবং বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ জরুরি। এই প্রতিবেদন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দেয়।
没有找到评论



















