close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সালথায় আধিপত্যের লড়াই: বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাঙচুর, আহত কয়েকজন!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের সমর্থকদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ..

সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, বাড়িঘরে হামলা!

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের সমর্থকদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।

রবিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের বাগবাড়ি এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 কীভাবে শুরু হলো সংঘর্ষ?

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেনা-পাওনা সংক্রান্ত বিষয়ে রবিবার সন্ধ্যার আগে সালথা বাজারে বিএনপি নেতা ও সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আছাদ মাতুব্বরের সমর্থক হারুন মাতুব্বরের সঙ্গে জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীর মোল্যার সমর্থক আফতাব মৃধার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এরপর আফতাব মৃধা বাগবাড়ি এলাকায় একটি দোকানের সামনে গেলে হারুন মাতুব্বর ঢাল-কাতরা নিয়ে তাকে ধাওয়া করেন, যা সংঘর্ষের রূপ নেয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর মোল্যার সমর্থকদের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।

 জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীরের দাবি:

জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীর মোল্যা বলেন,
"আধিপত্য বিস্তারের জন্য কিছুদিন আগে বিএনপি নেতা আছাদ মাতুব্বর এলাকার লোকজনকে তার পক্ষে ডেকেছিলেন। কিন্তু আমার সমর্থকরা সেখানে যাননি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। গত ২৯ অক্টোবর আমার একটি প্রোগ্রামে এলাকার লোকজন এলে আছাদ তাদের বাধা দেন। তারই জের ধরে আজকের এই হামলা। আমার সমর্থকদের ১০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।"

 বিএনপি নেতা আছাদ মাতুব্বরের পাল্টা বক্তব্য:

অন্যদিকে, বিএনপি নেতা আছাদ মাতুব্বর এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
"জাহাঙ্গীর মোল্যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছেন। তিনি আসলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। সংঘর্ষের সময় আমি ছাত্রদলের ইফতার মাহফিলে ছিলাম। ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজেই পুলিশকে জানাই।"

তিনি আরও বলেন,
"প্রকৃতপক্ষে, আওয়ামী লীগ নেতা মাওলানা হারুন মাতুব্বর ঢাল-কাতরা নিয়ে তুরাফ মৃধার ওপর হামলা চালান, এরপরই সংঘর্ষ বেধে যায়। তিন-চারটি বাড়ির বেড়া কেটে ফেলা হয়।"

 পুলিশ কী বলছে?

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান,
"সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"


 

সালথায় বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত। আধিপত্য বিস্তারের এই লড়াই আরও সহিংস হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ও রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা এই উত্তেজনা প্রশমিত করতে পারে।

Inga kommentarer hittades