বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকা সাকিব আল হাসান রাজনৈতিক পরিচিতি ও সাম্প্রতিক নীরবতা নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে থাকলেও এবার শিরোনামে এলেন তার বাবা খন্দকার মাসরুর রেজা। মাগুরায় বিএনপি অফিসে সন্ত্রাসী হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের হওয়া এক মামলায় তাকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।
সূত্র মতে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট মাগুরা শহরের ইসলামপুরপাড়ায় অবস্থিত বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটে। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় মোট ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলাটি দায়ের করেছেন মাগুরা সদর উপজেলার পাথরা গ্রামের বাসিন্দা মো. আবু তাহের। তিনি নিজেকে উক্ত বিএনপি কার্যালয়ের কেয়ারটেকার এবং দলের একজন কর্মী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মামলার বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন, “মামলাটি ১৮ মে দায়ের করা হয়েছে, তবে গণমাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে ২৬ মে।” তিনি জানান, ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে এবং এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
মামলার এজাহারে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালায়। অফিসের ভিতরের চেয়ার, টেবিল, আলমারি ভাঙচুরের পাশাপাশি সেখানে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, অফিসের পাশেই অবস্থিত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব কিশোরের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সব আসামি সন্ত্রাসী উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ ছিলেন এবং তারা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সক্রিয় নেতাকর্মী। এক নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সাকিবের পিতা খন্দকার মাসরুর রেজার নাম। এজাহারে দাবি করা হয়, তিনিই উপস্থিত থেকে পুরো হামলার নেতৃত্ব দেন এবং আগুন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলায় আরও উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—
- 
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাখারুল ইসলাম শাকিল 
- 
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন 
- 
জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শেখ রেজাউল ইসলাম 
- 
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান 
এই মামলার খবর সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই মাগুরার রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অনেকেই এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন— আইনগত প্রক্রিয়াই চলমান রয়েছে।
এদিকে, সাকিব আল হাসান বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরত এবং রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিতর্কের মধ্যে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে ঘিরে নানা গুঞ্জন থাকলেও তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরব থেকেছেন বলে সমালোচনা হয়।
এই মামলায় তার বাবার নাম আসায়, তা নতুনভাবে বিতর্ক উসকে দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			