সাভারের আমিনবাজারে গ্যাস লিকেজের সমস্যা দুই দিন ধরে চলমান, যা এলাকাটির প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার বাসিন্দার জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যার মূল কারণ হলো গ্যাস পাইপলাইনে বিশাল লিকেজ, যা থেকে বিপুল পরিমাণ গ্যাস নির্গত হচ্ছে। তবে, এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটি সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। ফলে এলাকাবাসী রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন।
এলাকায় গ্যাস না থাকায় বাসিন্দাদের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। কেউ কেউ উচ্চমূল্যে এলপি গ্যাস কিনে কোনোভাবে রান্না চালিয়ে নিচ্ছেন। তবে অনেকেই বাধ্য হয়ে কাঠের লাকড়ি ব্যবহার করছেন, যা একদিকে যেমন স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে, তেমনি পরিবেশ দূষণও বাড়াচ্ছে। এতে করে গৃহিণী ও কর্মজীবী মহিলাদের অধিক পরিশ্রম করতে হচ্ছে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্যাস না থাকায় হোটেল বা বাইরের খাবারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে, যা সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নতুন করে গ্যাস পাইপ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মেরামত কাজ চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। ফলে দুর্ভোগ দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, "তিন দিন হলো গ্যাস নাই, লাকড়ি দিয়ে রান্না করতে হচ্ছে। কিন্তু এই গরমে লাকড়ির আগুনে রান্না করা খুব কষ্টকর। গ্যাস কখন আসবে, কেউ বলতে পারছে না।" আরেক বাসিন্দা স্কুলশিক্ষিকা ফারহানা আক্তার বলেন, "এভাবে চলতে থাকলে আরও এক সপ্তাহও লাগতে পারে। অথচ এটা তো ৩০ হাজার মানুষের সমস্যা। কাজের গতি বাড়ানো দরকার।"
এলাকার মানুষ দাবি করেছেন, অতিরিক্ত লোকবল এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে দ্রুত এ সংকটের সমাধান জরুরি। তারা প্রশাসন এবং তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিষয়টিকে ‘জরুরি অবস্থা’ হিসেবে বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে।
এই ধরনের গ্যাস লিকেজ কেবল দুর্ভোগই নয়, বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে। দ্রুত সমাধান না হলে তা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তাই, প্রশাসনিক নজরদারি এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া অত্যাবশ্যক।
পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় বাসিন্দারা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে দ্রুত সমাধান করা হবে, যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে পারেন।
		
				
			


















