close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনাম ৫ দিনের রিমান্ডে, নতুন মামলায় গ্রেফতার সালমান-শম্ভু-মামুন!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকার সাভারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাইয়ুম হত্যা মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
বুধবার সকালে ঢাকার অতিরিক্ত মূখ্য বিচারিক হাকিম কে এম মহিউদ্দিন এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে সাভার থানার আরও ছয়টি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়। ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ইকবাল হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কী ঘটেছিল সাভারে?
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা জেলার সাভার বাসস্ট্যান্ডে গত ৫ আগস্ট দুপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থী কাইয়ুম। এ ঘটনায় তার মা কুলছুম বেগম সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নতুন মামলায় গ্রেফতার উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা!
এদিকে, আশুলিয়া থানার এক হত্যা মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে এবং আরেক মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
ঢাকার সিনিয়র বিচারিক হাকিম তাজুল ইসলাম তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া
আদালতে হাজির হওয়ার পর সালমান এফ রহমান তার আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘কোন মামলা?’ আইনজীবী জানান, আশুলিয়া থানার মামলা। এরপর তিনি জানতে চান, ‘শ্যোন অ্যারেস্ট?’ আইনজীবী উত্তর দেন, ‘হ্যাঁ।’ এরপর তিনি তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন। একইভাবে শম্ভুকেও তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। তবে নীরব ছিলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
অন্যদিকে, ডা. এনামুর রহমানকে দেখতে আদালতে ছুটে আসেন তার ছেলে। আদালতের ভেতরেই চোখ ও হাতের ইশারায় বাবা-ছেলের মধ্যে সংক্ষিপ্ত কথোপকথন হয়। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তাদের আলাদা করে দেয়।
আদালতের রায় ও পরবর্তী পদক্ষেপ
শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এছাড়া রিমান্ডে নিয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডা. এনামুর রহমানকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, অন্যান্য আসামিদের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বিষয়টি নিয়ে নানা মতামত দিচ্ছেন।
کوئی تبصرہ نہیں ملا



















