পুরোনো মামলা সচলের উদ্যোগ
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এসব মামলার বিষয়ে নতুন করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে খুলনায় ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ৩ কোটি টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় আপিল করা হয়েছে। দীর্ঘ ৫,৪৫২ দিন পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল নম্বর ৭৩৯/২০২৫ দাখিল করা হয়েছে।
আদালতের কার্যক্রম ও শুনানির দিন
গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে মামলাটি উত্থাপন করা হয়। আদালত আগামী ১৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। এদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
দুদকের পক্ষে মামলাটির শুনানি করেছেন আইনজীবী আসিফ হাসান, আর ফাইলিং আইনজীবী হিসেবে আছেন অ্যাডভোকেট সত্য রঞ্জন মণ্ডল।
দুদকের অবস্থান
দুদকের এক মহাপরিচালক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০১০ সালে হাইকোর্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা ৯টি দুর্নীতির মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন। তবে দুদক তখন আপিল করেনি। এখন পর্যায়ক্রমে সব মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
যে ৯টি মামলা সচল হচ্ছে
হাইকোর্টের দুটি পৃথক বেঞ্চ তিন মাসের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে থাকা নিম্নলিখিত ৯টি মামলা বাতিল করেছিল—
- ফ্রিগেট ক্রয় দুর্নীতি মামলা
- মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্র দুর্নীতি মামলা
- নাইকো দুর্নীতি মামলা
- ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র দুর্নীতি মামলা
- বেপজায় পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি মামলা
- নভোথিয়েটার নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে তিনটি মামলা
- মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ক্রয় দুর্নীতি মামলা
বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে ‘খুলনায় ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র’ মামলা
২০০৭ সালে দুদক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছিল। অভিযোগ ছিল, তিনি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি টাকা অনুদান নিয়েছেন, যা দুর্নীতির শামিল। নিম্ন দরদাতা কোম্পানিকে বাদ দিয়ে উচ্চ দরদাতাকে কাজ দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছিল।
২০০৮ সালে বিশেষ জজ আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে ২০১০ সালে হাইকোর্ট মামলাটি বাতিল ঘোষণা করেন। এখন এ রায়ের বিরুদ্ধেই আপিল করা হয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
আগামী ১৮ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলাগুলোর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বিচারিক পর্যায়ে মামলাগুলোর পরবর্তী গতি প্রকৃতি কী হয়, তা এখন সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।