close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রে প্তা র

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নবাবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হলেন সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন। জুলাই আন্দোলনে হত্যা মামলায় ডিবির হাতে একের পর এক গ্রেপ্তার, বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা।..

রাজনীতির মাঠে ফের নতুন উত্তেজনা। জুলাই আন্দোলনের হত্যা মামলায় এবার গ্রেপ্তার হলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সোমবার তাকে নবাবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। সূত্র জানায়, মামলার অগ্রগতির অংশ হিসেবে এই গ্রেপ্তার ঘটানো হয়েছে।

ডিবির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাবিনা আক্তার তুহিনের বিরুদ্ধে চলমান হত্যা মামলায় নতুন করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ উঠে এসেছে, যার ভিত্তিতেই তাকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তার সঙ্গে পরিবারের কয়েকজন সদস্য ছিলেন। তবে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ছিল।

এর ঠিক একদিন আগেই, একই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আরেক সাবেক এমপি মোহাম্মদ ফয়সল বিপ্লবকে। তাকে রাজধানীর মনিপুরী পাড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি জানান, “রাতে মনিপুরী পাড়া থেকে সাবেক এমপি ফয়সল বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”

জুলাই আন্দোলন ঘিরে সংঘটিত এই হত্যা মামলা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছে। দীর্ঘদিন পর পরপর দুই সাবেক সংসদ সদস্যের গ্রেপ্তার গোটা দেশের নজর কেড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তদন্তকারী কর্মকর্তারা আরও কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম পেয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে।

সাবিনা আক্তার তুহিনের গ্রেপ্তার ঘিরে আওয়ামী লীগের ভেতরে কিছুটা অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মী বিষয়টিকে "রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত" বলেও উল্লেখ করছেন। যদিও ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে — দলীয় পরিচয় বিবেচ্য নয়।

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যেই এই গ্রেপ্তারের ঘটনাকে "চাপ সৃষ্টি" এবং "গণআন্দোলন দমন" হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। তারা বলছে, সরকার নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে বিরোধী মত ও আওয়াজকে দমন করছে।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। গ্রেপ্তারকৃত সাবেক এমপিদের মোবাইল ফোন, আর্থিক লেনদেন ও সাম্প্রতিক যোগাযোগের উপর জোর দিয়ে তদন্ত চলছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, পরপর এই ধরণের গ্রেপ্তার ইঙ্গিত দেয় যে, বড় ধরনের কিছু পরিকল্পনা বা ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

সাবিনা আক্তার তুহিনের গ্রেপ্তার শুধু একজন রাজনীতিবিদের আটকের ঘটনা নয় — এটি বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। যে মাঠে প্রতিযোগিতা কেবল নির্বাচনী নয়, বরং বিচারের কাঠগড়ায়ও চলছে। এখন দেখার বিষয়, এই মামলায় আরও কী চমক অপেক্ষা করছে এবং এর রাজনৈতিক প্রভাব কতটা গভীর হয়।

No comments found


News Card Generator