রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি হত্যাকাণ্ড: গ্রেপ্তার ৪, তদন্তে নতুন মোড়!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কক্সবাজারের উখিয়ার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি মোহাম্মদ নূর হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এ ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ উদঘাটনে চলছে ..

কক্সবাজারের উখিয়ার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত হেড মাঝি মোহাম্মদ নূর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ১৪ এপিবিএনের সদস্যরা। বুধবার (৫ মার্চ) রাতে বিশেষ অভিযানে আসামিদের আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নুর হোসেন, কামাল হোসেন, সিদ্দিক ও জুবায়ের। তারা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক সিরাজ আমিন গণমাধ্যমকে জানান, 'মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।'

এদিকে উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোসাইন বলেন, 'চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হবে।'

কীভাবে সংঘটিত হয় হত্যাকাণ্ড? মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় নূরকে পথিমধ্যে ৫-৬ জন সন্ত্রাসী মিলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এই নির্মম ঘটনায় পুরো ক্যাম্পে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিহত নূরের স্ত্রী সামিরা বেগম উখিয়া থানায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

নেপথ্যের কারণ কী? পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে আরও বিস্তারিত তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হত্যাকাণ্ডের পর ক্যাম্পে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

পরবর্তী পদক্ষেপ আসামিদের রিমান্ডে এনে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী এবং নেপথ্যের কারণ জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি ক্যাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।

শেষ কথা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

 

Ingen kommentarer fundet