close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দুই মন্ত্রীর ‘রক্ষাকবচ’! সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নাম বাদ দিতে সিআইডিকে চাপ!


২০১৬ সালে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনা ছিল সাইবার জগতে সবচেয়ে বড় দুর্নীতির উদাহরণ। আর এই ঘটনার পেছনে ছিল সরকারের প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীর যোগসাজশ, যারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমানসহ অন্তত ১৩ কর্মকর্তার নাম বাদ দিতে সিআইডিকে চাপ দিয়েছিলেন।
সুইফট সিস্টেমের মাধ্যমে এই বিশাল অর্থ ফিলিপাইনের তিনটি ক্যাসিনোতে চলে যায়, যার পর এক মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি গোপন রাখে। ৩৯ দিন পর ঢাকার মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হলেও তদন্ত শুরু হলে সিআইডি সংস্থাটি তদন্তে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাংক কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা বের করে ফেলে। কিন্তু তদন্তে বাধা আসে সরকারের শীর্ষ দুই মন্ত্রীর চাপের কারণে।
তদন্তে আরও জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিলিপিনির পরামর্শক এডিসন জভেল্লানোর মৃত্যুর পর তার মৃত্যুর ঘটনা গোপন রাখা হয়, যার মধ্যে জড়িত বিদেশি নাগরিকদের একটি রহস্যময় সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই মামলাটি তদন্তে আগ্রহী হলেও, সিআইডি'কে মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রভাবিত করার মাধ্যমে তদন্তের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়।
তদন্তে অংশ নেয়া দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চুরির মামলার তদন্ত সবচেয়ে বেশি সফলভাবে দুদকই করতে পারত, কারণ তারা এই ধরনের জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনায় দক্ষ। তবে সরকারী চাপের কারণে সিআইডি এটি তদন্ত করেছে, যার কারণে মামলা জটিল হয়ে পড়ে। সিআইডি তদন্তের ফলাফল এখনও পর্যন্ত অনিশ্চিত, এবং এটি স্পষ্ট যে অপরাধীরা আইনের আওতায় আসা থেকে বাঁচতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এটি শুধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকেই ঝুঁকিতে ফেলে না, বরং দেশের শীর্ষ সাইবার নিরাপত্তা সিস্টেমের প্রতি আস্থা হারানোর কারণও হয়ে দাঁড়ায়।
Ingen kommentarer fundet