শান্তির পথে আশার আলো! রিয়াদে ইউক্রেন-মার্কিন সফল আলোচনা
রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের যুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত করতে সৌদি আরবের রিয়াদে ইউক্রেন ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বৈঠককে ‘ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ।
রোববার (২২ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে উমেরভ বলেন, "আমরা মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষ করেছি। এটি ফলপ্রসূ এবং কেন্দ্রভিত্তিক আলোচনা ছিল, যেখানে জ্বালানি সংকটসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন ‘ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে।
আলোচনায় কী বিষয় গুরুত্ব পেল?
রোববারের বৈঠকে ইউক্রেনের জ্বালানি নিরাপত্তা, অবকাঠামো রক্ষা এবং রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা হ্রাসের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, তিন বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে এটি মার্কিন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার একটি অংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আলোচনার প্রভাব আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও পড়বে, বিশেষ করে ইউরোপের নিরাপত্তা কাঠামো ও বৈশ্বিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে।
শান্তি আলোচনা কি সফল হবে? মার্কিন দূতের আশাবাদ
সোমবার মার্কিন ও রাশিয়ান প্রতিনিধিদের বৈঠকের আগে, রোববারের আলোচনা কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক গুরুত্ব পাচ্ছে। মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি মনে করি পুতিন শান্তি চান। সৌদি আরবে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে, যা কৃষ্ণ সাগরের বাণিজ্য চলাচলের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।"
তিনি আরও যোগ করেন, “এর ফলে আমরা হয়তো একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির দিকে এগোতে পারবো।”
হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরির বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম রাশিয়ায় নেওয়া ইউক্রেনীয় শিশুদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের বিষয়টি।
সমাপ্তি নাকি নতুন কৌশল?
বিশ্লেষকরা বলছেন, রিয়াদে আলোচনার ইতিবাচক দিক থাকলেও, যুদ্ধবিরতির জন্য আরও গভীর আলোচনা প্রয়োজন। তবে এটি স্পষ্ট যে, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সমাধানের পথে এগোচ্ছে।