close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
রেল চলাচল বন্ধের কর্মসূচি: সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস রেলপথ উপদেষ্টা


দেশব্যাপী রেল চলাচল বন্ধ হওয়া রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির ফলে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, এই কর্মসূচি অত্যন্ত দুঃখজনক, কারণ এতে মূলত সাধারণ মানুষই বেশি সমস্যায় পড়ছেন। তিনি আরও জানান, রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যা যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফাওজুল কবির খান বলেন, "রানিং স্টাফদের দাবির বিষয়ে আমাদের আলোচনার দরজা সব সময় খোলা রয়েছে। যদি প্রয়োজন হয়, আমরা তাঁদের সঙ্গে আবার আলোচনা করব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।"
এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, রেলওয়ে কর্মীদের মাইলেজ অ্যালাউন্স ও অন্যান্য সুবিধাগুলির কিছু দাবির বিষয়ে ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে বাকি দাবিগুলোর বিষয়ে আলোচনা করার প্রস্তুতি রয়েছে। ফাওজুল কবির খান আরও জানান, "আমরা চাই এই সমস্যার সমাধান দ্রুত করা হোক, বিশেষ করে সামনে ইজতেমা রয়েছে, যেখানে ব্যাপক যাত্রীদের চলাচল প্রয়োজন।"
রেল চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে রেলপথ মন্ত্রণালয় বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করেছে। কমলাপুর এবং বিমানবন্দর স্টেশনে ২০টি বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
তবে, রানিং স্টাফদের মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন তারা। রানিং স্টাফদের মধ্যে গার্ড, ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক এবং টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) রয়েছে।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামের পুরোনো রেলস্টেশন থেকে সংবাদ সম্মেলন করে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন জানিয়েছিল, ২৮ জানুয়ারির মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, "রেল তো কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এখানে আলোচনার সুযোগ আছে। তবে, ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার ফলে সরকারের কোনো ক্ষতি হয়নি, সমস্যা হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।"
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি