close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
রেক রহমানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার! একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় নতুন পরিস্থিতি
নিউজ: ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলাম সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক ঐতিহাসিক আদেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেছেন। এই আদেশের মাধ্যমে, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত পলাতক অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রফিকুল ইসলাম এই সিদ্ধান্ত নেন। গত ১ নভেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বে হাইকোর্টের বেঞ্চ এই মামলার সব আসামিকে খালাস দেন। তবে কিছু আসামি পলাতক ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে আগের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এবার সেই পরোয়ানাগুলি বাতিল করা হলো।
তবে এই রায়ের মাধ্যমে আবারও শিরোনামে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আদালত সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষ তাদের আবেদনে উল্লেখ করেছে যে, তারেক রহমানসহ খালাস পাওয়া পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে পূর্বে থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ প্রদান করে।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার মূল ঘটনাটি ২০০৪ সালে ঘটে, যখন আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এই হামলায় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা নিহত হন এবং অনেকেই আহত হন। পরবর্তীতে, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত এই মামলায় বিএনপির তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে।
এরপর, এই রায় ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছায়, যেখানে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের পর, রাষ্ট্রপক্ষ এই বিষয়টি নিয়ে আবারও আইনি পদক্ষেপ নেবে কি না, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।
তবে বর্তমান পরিস্থিতি দেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের মাধ্যমে এক নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার সৃষ্টি করতে পারে।
Inga kommentarer hittades



















