close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

রাখাইনে আরাকান আর্মির শক্তি বৃদ্ধি: মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা দখলে

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের উত্তরে সামরিক জান্তার শেষ ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই অঞ্চলে নিয়ন্ত্
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের উত্তরে সামরিক জান্তার শেষ ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তারা। এর ফলে, প্রথমবারের মতো মিয়ানমার সীমান্তের প্রায় ২৭০ কিলোমিটার এলাকা পুরোপুরি আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। সামরিক ঘাঁটি দখলের নাটকীয় ভিডিও প্রকাশ আরাকান আর্মির প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যারাক ৫-এ (বিজিপি ৫) আরাকান আর্মির সদস্যরা খালি পায়ে এবং হাতে অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে। তাদের ওপর দিয়ে উড়তে থাকা সামরিক বিমান সংঘর্ষের ভয়াবহতাকে আরও প্রকট করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরাজয় মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নেতা জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের জন্য এক বড় ধরনের অপমান। সিত্তে এখনও সামরিক শাসনের দখলে, তবে কতদিন? বর্তমানে শুধুমাত্র রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তে সামরিক জান্তার দখলে রয়েছে। তবে সেটি এখন পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মি দেশটির প্রথম বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে একটি পুরো রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। সেনাবাহিনীর লাগাতার পরাজয় এই বছরের শুরু থেকেই আরাকান আর্মির সামনে বারবার পরাজিত হচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। শহর থেকে শহরে পিছু হটছে সামরিক জান্তা। সাম্প্রতিক বিজয় আরাকান আর্মির কৌশলগত ও সামরিক সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। উল্লেখযোগ্য আটক: জান্তার বিশিষ্ট নেতার গ্রেফতার এর আগে, গত বুধবার আরাকান আর্মি জানায় যে তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কুখ্যাত জেনারেল থুরেইন তুনসহ হাজারো সেনাকে আটক করেছে। এ ঘটনা ঘটে রাখাইন রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মংডু শহরে সামরিক অভিযানের সময়। মিয়ানমারের জন্য সংকটময় ভবিষ্যৎ রাখাইনে আরাকান আর্মির এই অগ্রগতি মিয়ানমারের সামরিক সরকারের জন্য এক গভীর সংকটের পূর্বাভাস। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, যদি এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তবে রাখাইন রাজ্যে সামরিক জান্তার দখল ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। এই চমকপ্রদ হেডলাইন এবং বিস্তারিত খবরটি পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং পুরো ঘটনাকে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বুঝতে সাহায্য করবে।
نظری یافت نشد