close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

রাজপথে উত্তাল যুব মহিলা লীগ: সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় কেন্দ্রীয় দুই নেত্রী ৩ দিনের রিমান্ডে!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজধানীতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনে মিছিল, পুলিশের চোখে ধুলা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া, এরপরই গ্রেফতার কেন্দ্রীয় নেত্রী মিশু ও ইতি। ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি ঘিরে জটিলতা—ঘনাচ্ছে রাজনৈতিক নাটক!..

রাজধানীর রাজপথে আবারো উত্তেজনার বাতাবরণ। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় দুই নেত্রী—আইনবিষয়ক সম্পাদক পারভীন চাঁদ মিশু (৩৮) এবং দপ্তর সম্পাদক সাবরিনা ইতি (৩২)—কে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। শেরে বাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কী ঘটেছিল ৪ এপ্রিল সকালে?

ঘটনার সূত্রপাত ৪ এপ্রিল, সকাল ৭টার দিকে। যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি ইশরাত জাহান নাসরিনের নেতৃত্বে ১৪-১৫ জনের একটি দল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হয়ে হঠাৎ মিছিল শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দিতে থাকেন।

পুলিশ উপস্থিতি টের পেলে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। তবে গোয়েন্দা নজরদারি এবং প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণে পুলিশের সন্দেহ বাড়ে। তদন্তের অংশ হিসেবে ৬ এপ্রিল বিকেলে পারভীন চাঁদ মিশু ও সাবরিনা ইতিকে গ্রেফতার করা হয়।

রিমান্ড শুনানির সময় কী ঘটেছে?

৭ এপ্রিল তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ ফারহান ইবনে গফুর। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অভিযোগ কতটা গুরুতর?

মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রেফতার হওয়া দুই নেত্রী নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি সংগঠনের কর্মকাণ্ডকে সচল রাখার চেষ্টা করেছেন। একই সঙ্গে তারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে উৎসাহ দিয়েছেন এবং রাষ্ট্রের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।

এই কর্মকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিষয়টি নিছক রাজনৈতিক প্রতিবাদ না হয়ে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।

পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য?

অনেকে বলছেন, এই মিছিল ছিল শুধুই প্রতিবাদের অংশ, তবে পুলিশের অভিযোগ ভিন্ন। তদন্তকারীরা বিশ্বাস করছেন, এটি ছিল দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে সাজানো একটি পরিকল্পিত কর্মকাণ্ড।

পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে?

তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের পুনরায় আদালতে হাজির করা হবে। তদন্তে যদি রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডের প্রমাণ মেলে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।


 

রাজনীতির মাঠে আবারো উত্তেজনার সুর। যুব মহিলা লীগের নেত্রীদের গ্রেফতার, ড. ইউনূসকে ঘিরে বিতর্ক এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন—সব মিলিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার ঝড়। এর পেছনে কী সত্যি আছে, তা নির্ভর করছে আগামী দিনের তদন্তের ফলাফলের ওপর।

No comments found


News Card Generator