close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
রাজনৈতিক মহলে হইচই: পদত্যাগ করছেন তথ্য ও ক্রীড়া উপদেষ্টারা, ছাত্রদের নেতৃত্বে আসছে নতুন দল
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন, এমন খবর উঠে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তারা সরকারের পদ ছাড়বেন বলে জানা গেছে। এই পদত্যাগের লক্ষ্য হলো একটি নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা।
পাশাপাশি, এই নতুন দলটি জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতাদের নিয়ে গঠিত হবে। নতুন দলের আত্মপ্রকাশের প্রস্তুতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল, এবং দলের গঠন প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যে, ছাত্রদের নেতা হিসেবে নাহিদ ইসলাম আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সূত্র অনুযায়ী, এই নতুন রাজনৈতিক দলটি ছাত্রদের জন্য একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে। দলের গঠনতন্ত্রের কাজ বর্তমানে চলমান, এবং শীঘ্রই এটি প্রকাশিত হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে একটি নতুন দল রাজনৈতিক দৃশ্যপটে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।
এদিকে, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা মনে করছেন যে, সরকারের এক বা একাধিক ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করে নতুন দলটির নেতৃত্বে আসা উচিত। তারা দাবি করেছেন, যারা জনগণের কাছে জনপ্রিয়, তাদের পদত্যাগ করে ছাত্রদের নেতৃত্বে থাকা উচিত। এই পদক্ষেপটি সরকারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বিরোধিতা তৈরি করতে পারে, যা জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে।
এ বিষয়ে, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘গণঅভ্যুত্থানের শহীদ, আহত এবং জনতার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী, যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা সরকারের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগে নেতৃত্ব দেবেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও জনতা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, তারা চাইছেন ছাত্রসমাজ নেতৃত্বে আসুক এবং রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে ফ্যাসিস্টদের দূর করে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠন করুক।’’
তবে, এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘যদি ছাত্ররা সরকারের অংশ হয়ে তাদের নেতৃত্বে নতুন দল গঠন করে নির্বাচনে আসে, তাহলে সেটি মেনে নেওয়া হবে না।’’
বিশ্লেষকদের মতে, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন দলটির ঘোষণার পর দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। জাতির কাছে ছাত্রসমাজের এই নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য নতুন পথ তৈরি করতে পারে।
এছাড়া, দলের ইশতেহারের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে, এবং আগামী জুনে সরকারের আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও পদত্যাগ করতে পারেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নতুন দলটির ভবিষ্যত নিয়ে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও অনেক প্রশ্ন রেখে গেছেন, তবে এ মুহূর্তে সবকিছু নির্ভর করছে ছাত্রদের সিদ্ধান্ত এবং তাদের নেতৃত্বের ওপর।
এই পরিবর্তন বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে একটি নতুন যুগের সূচনা হতে পারে, যেখানে ছাত্রসমাজ কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
Geen reacties gevonden



















