close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

রাজনৈতিক দলগুলোর আদর্শগত কিছু দুরত্ব

Al Karim avatar   
Al Karim
রাজনৈতিক দলগুলোর অতীত বর্তমান হালচালের উপর গবেষণামূলক
একটি বিশ্লেষণ মাত্র।
এখানে কাউকে ছোট বা বড় করে ধরা মখ্যম না।
শুধুমাত্র বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের কার্যকলাপের সাথে বহিঃপ্রকাশ মাত্র।..

রাজনৈতিক দলগুলোর আদর্শগত কিছু দুরত্ব

রাজনৈতিক দলগুলোর অতীত বর্তমান হালচালের উপর গবেষণামূলক 
একটি বিশ্লেষণ মাত্র।
এখানে কাউকে ছোট বা বড় করে ধরা মখ্যম না।
শুধুমাত্র বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের কার্যকলাপের সাথে বহিঃপ্রকাশ মাত্র। 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরস্পর একে অন্যের সাথে পথমতের  রয়েছে দুরত্ব,  পাশাপাশি আদর্শগত ভাষা এক থাকলেও, কার্যকায়দায়ও আছে ভিন্নমাত্রা। 

আমি স্বাভাবিকভাবেই এই ভিন্নমাত্রার দিক থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রাথমিকভাবে দুভাগে ভাগ করি, যেমন 

০১. ইসলামী ধারার রাজনীতি ও

০২. প্রচলিত বিশ্ব বন্টিত রাজনীতি।

. ইসলামী ধারার রাজনীতিঃ এ রাজনীতি পরিচালিত হয় কুরআন সুন্নাহভিত্তিতে।

০২. প্রচলিত বিশ্ব বন্টিত রাজনীতিঃ এ রাজনীতি পরিচালিত হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে মানব রচিত পন্থায়। এককথায় বলে গনতান্ত্রিক পন্থা। 

বাংলাদেশ এ দু'ধারার রাজনীতিয় রয়েছে।  তবে দুঃখের বিষয় হলো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরস্পর কোন সুসম্পর্ক নেই বলেয় চলে। 

তাছাড়াও বাংলাদেশের রাজনীতির রাজনীবিদদের বিশেষ করে

গনতান্ত্রিক পন্থায় পরিচালিত দলগুলোর মধ্যে শুধু চুরি ডাকাতিই আর আধিপত্যবাদ হলো এদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য। 

যা কখনোই রাজনৈতিক দল হিসাবে পরিগনিত হয়, তবুও বলতে হয় এগুলো রাজনৈতিক দল।

সব থেকে দুঃখের বিষয় হলো,  গণতান্ত্রিক দলের, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক দলের ধারকবাহক তারায়, যারা দুর্নীতির আতুরনিবাস পুরবাসনকারী। জানি আমার এ কথায় হয়তোবা অনেকে রাগান্বিত হবেন,  তবু্ও বলছি একারনেই, যাতে এই সব কুসংস্কৃতি বন্ধ হয়ে, যেকোন আদর্শিকগত আদর্শ রাজনীতি চর্চা বাংলাদেশে প্রচলন হয়।

যায়হোক এবার আসল কথাই আসি।

রাজনৈতিক দলগুলোর আদর্শগত কিছু দুরত্বঃ-

১> আওয়ামী লীগঃ- বাংলাদেশর একটি প্রাচীন রাজনৈতিক দল। যার কুকীর্তির ফল আজ বাংলাদেশের জনগণ ভোগ করতেছে। এরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হলেও, গণতন্ত্রের খুনসংগঠনের প্রধান হুতা। এদের অতীতে কিছু ভালোর অর্জন থাকলেও, সেই ভালোকে পুঁজি করে, তার থেকে খারাপিটার অর্জনই বেশী। এদের সাথে মাঝে মধ্যে বিরোধী দলের জোট হলেও, স্বার্থান্বষনের পরপরই তাদেরকে ছুড়ে ফেলে।  যার জন্য আজ এদের রাজনৈতিক  মেরুদণ্ড শুন্যের কোঠায়। এদের সাথে সব ঘরোনার ব্যক্তির কোন সংযোগ নেই। 

০২. বিএনপিঃ- এটি শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল। এরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার আগে, ক্ষমতায় ছিলো। বর্তমানে স্বপ্নে আসিন, ক্ষমতায় যাবে যাবে ভাব। এদলও গণতান্ত্রিক পরিসংখ্যানে পরিচালিত ছিলো জিয়াউর রহমানের আমলে, এর পর থেকে যতবার ক্ষমতায় এসেছে, গণতন্ত্রকে পুঁজি করে, নিজদের বাড়ি বিদেশের বেগমপাড়া নামে তৈরী করেছে। এদের সাথে আবার কিছু রাজনৈতিক প্রতিবন্ধী ইসলাম নামধারী দলের জোট মাঝে মধ্যে হয়ে থাকে,  কখনো বা ইসলাম নামধারী দল আবার কখনো বা ইসলাম ব্যবহারকারী ব্যাক্তিবর্গের মিল হয়ে থাকে।  এতে দেখা যায় বিএনপির কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, সমাজের কাছে সেই সকল দল, বা ব্যক্তিবর্গের চিলগালা হয়ে যায়। এরাও আবার বিরোধী পক্ষকে বরদাস্ত করে না।

এই হলো গণতান্ত্রিক ধারার রাজনৈতিক হালচাল বাংলাদেশের। এই যদি হয় দেশ পরিচালক কমিটির নৈতিক চরিত্রের চলমান মান, তাহলে একটা দেশ কিভাবে আগাবে, আমার মাথায় ধরে না।

এছাড়াও আরো অনেক রাজনৈতিক দল আছে, যারা কোন দিন ক্ষমতায় আসেনাই। তবে প্রশ্ন একটা থাকেয় যায় যে, বড়দের এই চরিত্র হলে ছোটদের কিরূপ হবে?  তাছাড়াও, এই জাতীয় বাকি ছোট দলগুলো মাঝে মধ্যে, বড়দলের সাথে জোট বেধেছে, এরাও ওদের মতোই, দুর্নীতিবাজ।

এবার আসি ইসলামী দলগুলোর বিশ্লেষণেঃ

০৩. বাংলাদেশ জামাতে ইসলামঃ- এটি বাংলাদেশের প্রাচীন একটি ইসলামী মুলবোধের দল। এদের কালচার ইসলামীক চিন্তা চেতনায় করতে গেলেও মাঝে মধ্যে তা দেখি, আবেগের কাছে জলাজন্জলি দিতে বসে।

যেমন,  বাংলাদেশের আপামরসাধারণ মানুষের একটি সরলধারণা আছে যে, আওয়ামী লীগ ইসলাম বিদ্বেষি, আর বিএনপি ইসলাম প্রিয়, যদিও ধারণাটা ১৯৯৯% মিথ্যে। কারণ বর্তমানের বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে ইসলামের একমাত্র দুষন এই বিএনপি। যা সাম্প্রতিক চলমান সময়ে প্রমানিত চলছে। 

এমত দ্বয়ের মধ্যেও, আসল সত্য হলো, যারা বলবে আমি ইসলামমানি, তার জন্যেই এও মেনে নিতে হবে যে,   নারী নেতৃত্ব হারাম। এই সেই  জামাতে ইসলাম,  যারা ইসলামি দল করে, কিন্তু মাঝে মধ্যে ছুটখেলে, একবার আওয়ামী লীগের ধরনা ধরে, আরেকবার বিএনপির ধরনা ধরে। 

বাংলাদেশ জামাতে ইসলামের সাথে ইলমে অহী ধারকবাহক, অর্থাৎ আহলে হক উলামায়ে ইসলামের, সঠিক নির্দেশকগণের কোন সম্পর্ক নেই।  আর যদিও খুটিনাটি দু'একজনের উঠাবসা আছে, তাও আবার তারা বাংলাদেশের আমজনতার কাচে চাপাবাজ ভাবে পরিচিত। 

তবে ইদানীং কাল দেখা যাচ্ছে যে, উলামায়ে হকের সঙ্গে কথা চলছে এদের, জানি অবশেষে কি হবে।

০৪. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশঃ এটিই একমাত্র বাংলাদেশের নবপ্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠন, যাদের দলীয় একটি শ্লোগানও আছে যে শুধু নেতা নয়, নীতিরও পরিবর্তন চাই। এই দল এই শ্লোগানকেয় সামনে রেখে পথচলছে, এরা মনে করে আজবধি ৫৩বছর ধরে, দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হচ্ছে, কখনো নেতা পরিবর্তন আবার কখনো নীতির পরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। সুতরাং পালাবদল হলেই চলবে না, দরকার আদর্শিক পরিবর্তন। 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মনে করে যে, গণতন্ত্র কোন কালেও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন যেহেতু করতে পারে নাই, এটা প্রমাণিত। 

অতএব চির সত্যি "ইসলামী শাসনতন্ত্র" যে পরিক্ষীত ও প্রমানিত। সুতরাং এদেশের মানুষকে মুক্তির জন্য "ইসলামী শাসনতন্ত্র" প্রতিষ্ঠার জন্য, ইসলামী রীতিনীতির মধ্য দিয়ে আগাবো, তবুও মনগড়া কোন আদর্শের কাছে মাথানত করবো না।

দেখা যাচ্ছে যে, এদলের কথা ও কাজের ১০০% মিল আছে। 

সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় হলো, এই দলে সকল ঘরোয়ানার মানুষের প্লাটফর্ম। এর এটিই একমাত্র বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের অর্জন। যা আর কোন রাজনৈতিক দলের মধ্যে সচরাচর নেই বললেয় চলে। 

গত ২০২৪ সালের স্বৈরাচার তাড়ানোর একমাত্র রাজনৈতিক দল এটি। 

এদলের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আজ পর্যন্ত কোনপ্রকার দুর্নীতির কালিমা নেই। 

আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার জরিপে দেখা যাচ্ছে যে,  বাংলাদেশের একমত্র প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। যার নামে সকলপ্রকার দুর্নীতিমুক্ত সীল রয়েছে। 

সর্বশেষ যে কথাটা আসলে বলতে চাচ্ছি, আর তা হলো, সকল রাজনৈতিক দলগুলো যদি দেশের খেদমতের নিয়ত করে তাহলে এই দেশ আর কোনদিন ২০২৪ দেখবে না।

No comments found