close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
পুলিশের ওপর হামলা: ছাত্রদলের দুই নেতা বহিষ্কার, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে নেওয়া কঠোর পদক্ষেপ


রাজধানী ঢাকার নিউমার্কেট থানা প্রাঙ্গণে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের দুই শীর্ষ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) এক উত্তপ্ত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের এই সিদ্ধান্তটি জানানো হয়। ঘটনার সূত্রপাত ঘটে যখন পুলিশ আটককৃত ছাত্রদল নেতা মিথুনকে নিয়ে নিউমার্কেট থানায় প্রবেশ করছিল। তার সমর্থকরা পুলিশ গাড়ির পথ রোধ করে এবং এক পর্যায়ে মিথুনকে পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিতে হামলা চালায়।
এই ঘটনায় জড়িত দুই নেতা হলেন কলাবাগান থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান (বিল্লাল) ও ধানমন্ডি থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুস্তাক আহাম্মদ (চঞ্চল)। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তাদের সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, "বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার অধীন কলাবাগান থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান (বিল্লাল) ও ধানমন্ডি থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুস্তাক আহাম্মদ (চঞ্চল) সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।"
এছাড়া, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম (রাকিব) এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেন।
এই হামলায় নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) তারিক লতিফসহ চার থেকে পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন। হামলার পরপরই পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে এবং হামলায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
শুক্রবারের হামলার ঘটনা ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি, রাজনীতির মাঠে নৈরাজ্যের প্রসঙ্গও তুলে ধরেছে। ছাত্রদলের ওপর এই ধরনের পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে সংগঠনটি কীভাবে নিজেদের শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে পারে তা এখন দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এই ঘটনায় বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে, তবে এ ধরনের সহিংসতার ঘটনায় সংগঠনটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এই ঘটনার পর, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ছাত্রদলকে সংগঠনের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে, অন্যথায় ভবিষ্যতে এমন সহিংসতা আরো বাড়তে পারে, যা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও অস্থির করে তুলবে।
Aucun commentaire trouvé