close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
পুলিশ সংস্কার কমিশন গত বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পুলিশের কার্যক্রম সংস্কারের জন্য এক ঐতিহাসিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। এই প্রতিবেদনে বহু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে যা বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যক্রমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।
কমিশন বল প্রয়োগ, আটক, গ্রেফতার, জিজ্ঞাসাবাদ, মানবাধিকার রক্ষা, প্রভাবমুক্ত এবং জবাবদিহিমূলক বাহিনী গঠনসহ থানায় জিডি রেকর্ড, মামলা রুজু, তদন্ত এবং ফেরিফিকেশনসহ একাধিক বিষয়ে সুপারিশ করেছে। জাতিসংঘের নীতিমালা অনুসরণ করে বল প্রয়োগের নতুন পাঁচ ধাপের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা পুলিশের কার্যক্রমে মানবাধিকার রক্ষা নিশ্চিত করবে।
গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ এবং ফৌজদারি মামলার কার্যক্রমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারেরও সুপারিশ করা হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্তের দায়িত্ব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওপর ন্যস্ত করার প্রস্তাব এসেছে।
এছাড়াও কমিশন পুলিশের দুর্নীতি রোধে প্রতিটি থানায় 'সর্বদলীয় কমিটি' গঠনের সুপারিশ করেছে। পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, পদোন্নতিতে নিষ্ঠা এবং পদায়ন-বদলি ক্ষেত্রে সততার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশ সুপার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পদায়ন ও নিয়োগের জন্য ফিট লিস্ট তৈরি, নারী পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনাও সুপারিশে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কমিশনের প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী পুলিশিং কার্যক্রমে নতুন দিক সূচিত হবে, যা বাংলাদেশের পুলিশ ব্যবস্থা আরও দক্ষ, জনবান্ধব এবং মানবাধিকার সম্মত করে তুলবে।
Inga kommentarer hittades