close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

পটিয়া থানার ওসির কলিজা তো দেখি অনেক বিশাল, তাকেদীর্ঘস্থায়ী জয় বাংলা না করলে হবে না : পিনাকী..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নূরের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ তুলে সরব অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। ‘দীর্ঘস্থায়ী জয় বাংলা না করলে হবে না’—এই বক্তব্য ঘিরে উত্তেজনা ছড়..

পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নূরের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ তুলে সরব অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। ‘দীর্ঘস্থায়ী জয় বাংলা না করলে হবে না’—এই বক্তব্য ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ছাত্র আন্দোলনকারীদের মধ্যে। থানার ঘেরাও, মহাসড়ক অবরোধ, ও সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম!

চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নূরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও বিশিষ্ট লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি দাবি করেন, ওসি জায়েদ নূরের ‘কলিজা বিশাল’, এবং ‘তাকে দীর্ঘস্থায়ী জয় বাংলা না করলে হবে না’।

এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর পরই ছাত্র সংগঠনের ভেতরে উত্তেজনা বাড়ে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা আজ (বুধবার) সকাল থেকেই পটিয়া থানার সামনে জড়ো হন এবং ওসির অপসারণের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা দাবি করেন—নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়েছেন ওসি জায়েদ নূর, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা ও দায়িত্ববোধের ওপর বড় প্রশ্ন তুলে দেয়।

দুপুর নাগাদ ছাত্ররা পটিয়া থানা পুরোপুরি ঘেরাও করে ফেলেন এবং থানার সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বসে পড়েন। এতে ঐ ব্যস্ত মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং শত শত গাড়ি আটকে পড়ে দীর্ঘ সময় ধরে।

পটিয়া থানা এলাকা তখন রূপ নেয় উত্তপ্ত বিক্ষোভস্থলে। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে রাতেই দু’দফা সংঘর্ষ হয়, যেখানে অন্তত ২০ জন ছাত্র আহত হন বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

তবে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম তার নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “ইউনিফর্মধারী হোক কিংবা সিভিল—খুনিদের বিচার না হলে সব থানা একদিন পটিয়া হয়ে যাবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দোষীদের বিচার করতে হবে।

অনেকে মনে করছেন, পটিয়া থানার ওসিকে ঘিরে এই উত্তেজনা কোনো একক ইস্যু নয় বরং সামগ্রিকভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর রাজনৈতিক প্রভাব, নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগসাজশ এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে একটি বিস্ফোরণ।

অন্যদিকে, ওসি জায়েদ নূরের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে এখনো কোনো ব্যাখ্যা বা মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ছাত্রদের অভিযোগ অনুযায়ী, নিষিদ্ধ একটি রাজনৈতিক সংগঠনের প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে গ্রেপ্তার না করে ওসি জায়েদ নূর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানিয়েছে, যতদিন না ওসিকে বদলি বা বরখাস্ত করা হবে, ততদিন তারা অবস্থান ছাড়বে না এবং বৃহত্তর কর্মসূচিরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

বর্তমানে দেশের অনেক জায়গাতেই প্রশাসন এবং রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সম্পর্ক নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। পটিয়া থানার ঘটনা এই প্রশ্নগুলোকে আরও জোরালো করেছে। একটি থানার ওসিকে ঘিরে যখন জাতীয় পর্যায়ের আলোচনা হয় এবং আন্দোলন দানা বাঁধে, তখন সেটিকে কোনোভাবেই ‘সাধারণ ঘটনা’ হিসেবে দেখার সুযোগ থাকে না।

এই ঘটনার শেষ কোথায়, এবং ছাত্রদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়, সে দিকেই তাকিয়ে এখন পুরো দেশ।

לא נמצאו הערות