এশিয়ার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ফুটবল প্রতিযোগিতা এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল এক নজির গড়ে দিল। প্রথমার্ধেই নিজেদের চেয়ে অনেক উচ্চ র্যাঙ্কিংয়ে থাকা বাহরাইনকে ৫-০ গোলে পিছিয়ে রেখে ইয়াঙ্গুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করল বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলায় নামেন বাংলাদেশিরা। নবম মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়র প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে একা পেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত শটে বল জালে পাঠিয়ে স্কোরবোর্ডে প্রথম গোল যোগ করেন। গোল পাওয়ার পরেও দলটির আক্রমণ থামেনি, বরং আরও দৃঢ় হয়েছে।
১৫ মিনিটে স্বপ্না রানীর অসাধারণ পাস থেকে ঋতুপর্ণা চাকমা ডি বক্সের মধ্যে থেকে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান, যা স্কোরকে ২-০ করে। এরপর ৪০ মিনিটে মারিয়ার ড্রিবল ও পাস থেকে কোহাতি কিসুক গোল করে বাংলাদেশকে তৃতীয় গোল উপহার দেন।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে তহুরা খাতুন ডান পায়ের শটে বাংলাদেশের গোলের সংখ্যা চারে উন্নীত করেন। আর ম্যাচের যোগ করা সময়ের ৪৮ মিনিটে শামসুন্নাহারের বাড়ানো বল থেকে তহুরা আরও একটি গোল করে জয়কে অনিবার্য করেন।
বাংলাদেশের এই জয় শুধু আজকের ম্যাচে নয়, বরং দেশের ফুটবল ইতিহাসে নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। অতীতে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ৫ ম্যাচে কোনো জয় না পাওয়া বাংলাদেশ এবার নিজেদের ক্ষমতা প্রমাণ করতে সক্ষম হলো।
২০১৪ সালে ভিয়েতনামে ৩ ম্যাচে ১৫ গোল হজম করলেও এবার দলটি দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের মাটিতে ২০২২ সালের বাছাইপর্বেও দুই ম্যাচে ১০ গোল খাওয়ার পর এখন তারা নতুন প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামছে।
বাংলাদেশের তরুণ ফুটবলিরা নিজেদের সম্ভাবনা এবং দেশের ফুটবল উন্নয়নে আশার সঞ্চার করেছেন আজকের এই জয়ে। আগামী ম্যাচগুলোতে তাদের পারফরম্যান্স কেমন হয়, তা ফুটবল ভক্তদের নজর থাকবে।