close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

পরমাণু কার্যক্রম শুরু করলে ই রা নে আবারো বো মা হা ম লা র হু ম কি ট্রাম্পের..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড শুরু করলে আবারো বোমা হামলার হুমকি দিলেন ট্রাম্প। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির বক্তব্যকে ‘নির্লজ্জ মিথ্যা’ আখ্যা দিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন।..

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সম্প্রতি ইসরাইলের বিরুদ্ধে ১২ দিনের যুদ্ধজয়ের ঘোষণার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তীব্র সমালোচনা করেছেন। খামেনির ওই বক্তব্যকে ‘নির্লজ্জ ও বোকামিপূর্ণ মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, যদি ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা শুরু করে তাহলে তার দেশ আবারো ইরানে বোমা হামলা চালাবে।

শুক্রবার (২৭ জুন) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। একই দিনে ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ একটি পোস্টে খামেনির বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন এবং জানান, তিনি নিজে ‘এক সহিংস ও অপমানজনক মৃত্যুর হাত থেকে’ খামেনিকে বাঁচিয়েছেন।

গতদিন ইসরাইল-ইরানের সংঘাত যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো খামেনি ভিডিও বার্তায় নিজের ‘বিজয়’ দাবি করেন। তিনি বলেন, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তেহরান মার্কিন ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালিয়েছে, যা ওয়াশিংটনের জন্য ‘সজোরে চড়’ হিসেবে ধরা হবে।

এ কথা প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানান, তিনি ইসরাইলকে ‘চূড়ান্ত কিছু করা থেকে’ বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তার দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং তার তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে। আমি জানতাম তিনি কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন, তাই ইসরাইল বা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন সামরিক বাহিনীকে দিয়ে তার জীবন শেষ করি নাই।’

তবে মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা কতটা ধ্বংস হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। মার্কিন প্রশাসন যতই সফলতার গল্প বলুক, ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এ হামলা ইরানের সামরিক ও কূটনৈতিক অগ্রগতিকে সীমিত করেছে, তবে সম্পূর্ণভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইরানের ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার টানাপোড়েন আরো তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংকটের ঝুঁকি বাড়ছে এবং বিশ্ব শান্তির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখা দিচ্ছে। পারমাণবিক অস্ত্র বিতর্ক, ইরান-ইসরাইল সংঘাত ও মার্কিন হস্তক্ষেপের মধ্যে কূটনৈতিক মেরুকরণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উত্তেজনার মধ্যে কূটনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন। অন্যথায়, মধ্যপ্রাচ্যে বৃহৎ ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে, যা গ্লোবাল নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।

No comments found


News Card Generator